আবার বেশির ভাগ দেশেই মদ্যপান করে গাড়ি চালানোটা বে-আইনি। ফলে সেই সব দেশে এই অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। তবে এত কিছুর পরেও মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর ঘটনা কমে তো না-ই, বরং আরও বেড়ে যায়!
তা-হলে দুর্ঘটনা এড়ানোর উপায় কী। এই উপায় খুঁজে বার করতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে একটি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ চলছে। চালক মদ্যপান করেছেন কি না, তা ওই প্রযুক্তির মাধ্যমে গাড়ি নিজেই শনাক্ত করতে পারবে। আর এই প্রযুক্তির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অ্যালকোহল ইমপেয়ারমেন্ট ডিটেকশন সিস্টেম’, যা সরাসরি গাড়িতে ইনস্টল করা থাকবে।
advertisement
কিন্তু কীভাবে কাজ করবে এই সিস্টেম?
চালক অ্যালকোহল সেবন করেছেন কি না, তা চিহ্নিত করতে সিস্টেমটি বিভিন্ন উপায়ে কাজ করবে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে লাগাতার গাড়ির চালকের চেহারার উপর নজর রাখা যাবে। এমনকী গাড়ির চালককে সতর্ক রাখার জন্য ড্রাইভার ডিটেকশন সিস্টেম যে-ভাবে কাজ করে, এই সিস্টেমটিও ঠিক সে-ভাবেই কাজ করবে।
যদি কোনও গাড়ির চালক অ্যালকোহল পান করে ড্রাইভিং সিটে বসেন, সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্ম বাজতে শুরু করবে। যদিও এই সিস্টেমটি এখনও সম্পূর্ণ রূপে প্রস্তুত করা হয়নি। তবে যাতে তাড়াতাড়ি তা ব্যবহার করা যায়, তার জন্য এখনও এটা নিয়ে কাজ চলছে।
বাঁচানো যাবে অনেক প্রাণ:
সমস্ত যানবাহনেই স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে এই সেফটি ফিচার প্রদান করা হবে। আর গাড়ি প্রস্তুতিকারী সংস্থাগুলিকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে ইউএস ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি)। এনটিএসবি সংস্থার মতে, এই ধরনের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে অনেক দুর্ঘটনাই রুখে দেওয়া যাবে এবং বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: আকাশের অধিকার! বিশ্বসেরা বিমানসংস্থার তালিকায় এ বছর সেরা ২০-তে জায়গা করে নিল কারা? দেখে নিন
ভারতে মৃত্যুর পরিসংখ্যান:
রিপোর্ট বলছে, ড্রিঙ্ক অ্যান্ড ড্রাইভ বা মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালে ১১ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। অন্য দিকে আবার, প্রতি বছর ভারতে মদ্যপান করে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে প্রাণ হারায় প্রায় ৮,৩০০ মানুষ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চালক মদের নেশায় নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন।
আরও পড়ুন: ফের বাড়বে সুদের হার, ঋণ-ইএমআই আরও ব্যয়বহুল! জেনে নিন কতদিনে মিলবে স্বস্তি!
আর নিয়ন্ত্রণ না-থাকার ফলে কখনও মাত্রাতিরিক্ত বেগ কিংবা কখনও অন্য গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারান চালক। শুধু তা-ই নয়, চালকের পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গতির বলি হতে হয় সাধারণ মানুষকেও।