স্টক মার্কেটে সংশোধনের পরে, টাটা পাওয়ারের এই শেয়ার গত দুই বছরে ২০২২ সালের ১৮ মে ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ২৩৭.৫ টাকা হয়। এই সময়ে এটি বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৭০০ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছিল। বিশেষ বিষয় হল এই মাল্টিব্যাগার স্টকটি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গত কয়েক মাসে বাজারে প্রচুর বিক্রি হওয়া সত্ত্বেও শেয়ারহোল্ডারদের এত বেশি রিটার্ন দিতে সক্ষম হয়েছে। লাইভমিন্টের মতে, ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল, টাটা পাওয়ার NSE তে প্রায় ৩০ টাকায় ট্রেড করছিল। টাটার এই শেয়ারটি ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল, ৫২ সপ্তাহের সর্বোচ্চ ২৯৮.০৫ টাকা ছুঁয়েছে, কিন্তু পরে তা হ্রাসও পেয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: চারদিনে ৮০০ টাকা দাম বাড়ল সোনার, দেখে নিন আজকে ১০ গ্রামের দাম
বৃহস্পতিবার সকাল ১০:২৩-এ বিএসইতে টাটা পাওয়ারের শেয়ার ২.৮৪ শতাংশ কমে ২৩১ টাকায় লেনদেন করছে। এই মাল্টিব্যাগার স্টকটি গত দেড় বছরে ২০ শতাংশের বেশি কমেছে। ইয়ার টু ডেট (YTD) অর্থাৎ চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত কথা বললে এই মাল্টিব্যাগার স্টক প্রায় ৬ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে, গত ৬ মাসে, টাটার এই শেয়ারটি তার শেয়ারহোল্ডারদের ৪.৫ শতাংশের পরিমিত রিটার্ন দিয়েছে। গত ১ বছরের কথা বললে, টাটা পাওয়ারের শেয়ারের দাম ১০৪ টাকা থেকে বেড়ে ২৩১ টাকা হয়েছে।
স্টক মার্কেট নিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সবসময়ই চিন্তায় থাকেন। রিস্কের কথা ভেবে অনেকেই এগিয়ে আবার পিছুপা হয়ে যান। তবে শেয়ার মার্কেট অস্থির হলেও টাটার মতো এমন কিছু স্টক আছে যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিনিয়োগকারীদের মুনাফা প্রদান করে। সম্প্রতি ভারতীয় বাজারে পতন শুরু হওয়ায় টাটা কোম্পানির স্টকেও উত্থান পতন দেখা গিয়েছে। তবে এই টাটা বিনিয়োগ করলে যে ভবিষ্যতেও ভালো রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে তা অনুমান করা খুবই সহজ। বর্তমানে নেমে গেলেও মার্কেট ঠিক হলেও স্টকের সূচক ফের উপরে উঠবে।