সুপ্রিম কোর্টের এই দু'টি আদেশ সম্পর্কে News18-এর পক্ষ থেকে বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে এর প্রভাব এবং উপকারিতা সম্পর্কে জানা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট দু'টি আলাদা আলাদা মামলার মাধ্যমে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, রিয়েল এস্টেট আইনের আইন অনুযায়ী নির্মাণাধীন সকল প্রোজেক্ট রেরা-র (RERA) আওতায় থাকবে। এছাড়াও কোনও বিল্ডার যদি কোনও ক্রেতাকে তার ঘর কেনার টাকা ফেরত না দেয়, তাহলে ভূ-রাজস্ব আইন অনুযায়ী সেই টাকা সুদ সহ বিল্ডারকে ফেরত দিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: শীঘ্রই UAN এর সঙ্গে লিঙ্ক করিয়ে নিন Aadhaar, না হলে হতে পারে বড় লোকসান
রাজ্যের কোনও নিয়ম কেন্দ্রীয় আইনের নিয়মকানুনকে বদলাতে পারবে না-
প্রপার্টি কনসালটেন্ট বীরেন্দ্র পুনিয়া জানিয়েছেন যে সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশের ফলে এই রিয়েল এস্টেট আইনের আধারে অনেক রাজ্যকেই নিজেদের নিয়মের বদল করতে হবে। কয়েকটি রাজ্য নিজেদের মতো করে আইনে কিছু বদল ঘটিয়েছে, কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশ অনুযায়ী রিয়েল এস্টেট আইনের নিয়মের কোনও রকম বদল করা যাবে না। ক্রেতাদের সুরক্ষা এবং নিজেদের সঠিক অধিকার রক্ষার জন্য সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে যে কোনও বিল্ডার এখন নিজেদের ইচ্ছামত কাজ করতে পারবে না এবং ক্রেতাদের টাকা অনেকদিন ধরে আটকে রাখতে পারবে না।
আরও পড়ুন: অ্যাকাউন্টে আসতে চলেছে ২০০০ টাকা, ঠিক করে নিন এই ভুলগুলো, না হলে আটকে যাবে টাকা
রেরা-র অধীনে আসবে পুরনো প্রজেক্ট-
এনারাঙ্ক প্রপার্টি কনসালটেন্টের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন যে, এর ফলে ঘরবাড়ি কেনার বাজারে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে এবং মানুষ আবার তার হারানো বিশ্বাস ফিরে পাবে। সুপ্রিম কোর্টের আদেশের ফলে সকল নির্মাণাধীন হাউজিং প্রজেক্টস রেরা-র আওতায় চলে আসবে। এর ফলে লম্বা সময় ধরে ঘর কেনার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।
আরও পড়ুন: পঞ্জিকা ২৪ নভেম্বর: দেখে নিন নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল এবং দিনের অন্য লগ্ন!
৬,২৯,০০০ ঘর এখনও তৈরি হয়নি
এনারাঙ্ক প্রপার্টি কনসালটেন্টের জুলাই মাসের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের শীর্ষ ৭ শহরে প্রায় ৬,২৯,০০০ আবাসনের ঘর বিভিন্ন ধাপে আটকে রয়েছে। এই সব নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৪ সাল থেকে। ২০১৪ সালে কাজ শুরু হয়ে, এখনও এর কোনওটাই শেষ হয়নি। নির্মাণকাজে এত দেরি করার ফলে এই সব প্রপার্টি এখন বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে।