দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ: শেয়ার বাজার থেকে মোটা রিটার্ন পেতে চাইলে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগই একমাত্র পথ। যেমন ইক্যুইটি। লম্বা সময়ের জন্য বিনিয়োগ না করলে মুনাফা পাওয়া কঠিন।
কমপক্ষে পাঁচ বছর ওই দিকে ফিরে তাকালে চলবে না। আসলে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করলে তা কোম্পানির মুনাফার সঙ্গে মিলে যায়। তাই সেই অনুযায়ী লক্ষ্য স্থির করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত জমি ফেলে না রেখে চাষ করুণ এই ফসল! লাভ হবে ব্যাপক
সঠিক বিচার ও বোধ: স্টক প্রকৃতিতে অস্থির। বিনিয়োগকারীর মধ্যে এই অস্থিরতা সহ্য করার শক্তি থাকতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন শৃঙ্খলা এবং ধৈর্য। স্টক কেনার পরই দাম কমে যেতে পারে।
অনেকেই এই ধাক্কা নিতে পারেন না। একইভাবে স্টক বিক্রি না করলে লাভ হবে না। কিন্তু সঠিক সময়ের জন্য ওঁত পেতে থাকা উচিত। ভুল সময়ে চাল দিলে অন্য কেউ দাঁও মেরে যাবে।
কোম্পানিকে চেনা: বিনিয়োগকারী যে স্টকে বিনিয়োগ করছেন, সেই কোম্পানি সম্পর্কে বিশদ জানাটা গুরুত্বপূর্ণ। কোম্পানির ব্যবসা সম্পর্কে যদি ধারণা থাকে তাহলে আরও ভাল।
অর্থাৎ কোম্পানির অর্থনীতি, প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান, বৃদ্ধির কারণ ইত্যাদি। একান্তই না বুঝতে পারলে সেবি নিবন্ধিত উপদেষ্টার পরামর্শ নেওয়া উচিত। এ সব না জেনে বুঝে বিনিয়োগ করলে, সেটা অন্ধকারে তির ছোঁড়ার মতো হবে।
ভ্যালুয়েশন: স্টক মার্কেটে বিনিয়োগের এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। স্টক সস্তা কি না বা অন্ততপক্ষে যুক্তিসঙ্গত দামে মিলছে কি না সেটা বুঝতে হবে। কিন্তু কীভাবে? এর জন্যেই কোম্পানির ব্যবসা বোঝা দরকার। তবেই বিনিয়োগকারী সঠিক মূল্য নির্ধারণ করতে পারবেন।
এই ভ্যালু বা মান-কে অনেকে অন্তর্নিহিত মান-ও বলেন। বিনিয়োগকারী হিসেবে একজনকে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য ছাড়ে স্টক কেনার দিকে নজর দিতে হবে।
চতুরতার সঙ্গে: স্টকে বিনিয়োগ করতে হলে যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তা প্রয়োজন। সঙ্গে চটপটে হতে হবে। প্রাথমিক বিনিয়োগের ভিত্তি পরিবর্তিত হলে, চিন্তাভাবনারও পরিবর্তন দরকার। সে জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন- সপ্তাহের শেষে কি বাড়ল সোনা-রূপোর দাম, জেনে নিন এই বিষয়ে বিস্তারিত
ধরা যাক কোনও বিনিয়োগকারী নির্দিষ্ট থিসিসে স্টক কিনেছেন। এখন যদি পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় এবং মূল থিসিসটা আর বৈধ না থাকে তাহলে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখতে হবে।