ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ট্যারিফ –
আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ট্যারিফ নীতি গ্লোবাল মার্কেটে অনিশ্চয়তা অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর কড়া সমালোচনা করেছেন এবং আমেরিকার ওপরে নতুন ট্যারিফ চাপানোর হুমকি দিয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উরশুলা ওয়ানের লায়েন বলেছেন যে, আমেরিকার ট্যারিফের ক্ষেত্রে আমরা জবাব দিতে তৈরি। এই ট্যারিফের জন্যই বিশ্ববাজারে অনিশ্চয়তা অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। যার ফলে শেয়ার বাজারে পতন দেখা দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: PF অ্যাকাউন্টে সুদ ট্রান্সফার করেছে সরকার, এই ৪ পদ্ধতির মাধ্যমে অবিলম্বে ব্যালেন্স চেক করুন
সুদের হারে কাটছাঁট –
ডোনাল ট্রাম্পের এই ট্যারিফ নীতি আমেরিকা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। আমেরিকা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান বলেছেন যে, আগামী দিনে সুদের ক্ষেত্রে কোনও কাটছাঁট করা নাও হতে পারে। এটা শেয়ার বাজারের পতনের ক্ষেত্রে একটি প্রধান কারণ।
কমজোর Q3 প্রভাব বিনিয়োগকারীদের চিন্তা বাড়িয়েছে –
ডিসেম্বরের ত্রৈমাসিকে কমজোর ব্যবসা বিনিয়োগকারীদের চিন্তা অনেকটাই বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে ঝিমিয়ে পড়া বাজার বিনিয়োগেরে চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বেশ কয়েকটি বড় কোম্পানির ব্যবসা আশানুরূপ হয়নি। কোম্পানিদের এই ধীরগতির গ্রোথ, বাজারের অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: SIP-তে টাকা খাটিয়ে বসে থাকলেই হবে না, এই কাজ না করলে ভরাডুবি হতেই পারে, বলছেন বাজার বিশেষজ্ঞ
স্মলক্যাপ এবং মিডক্যাপ শেয়ারের উচ্চ ভ্যালু আরও একটি চিন্তার বিষয় –
স্মলক্যাপ এবং মিডক্যাপ শেয়ারে বিগত দুই মাসে লাগাতার পতন দেখা দিয়েছে। কিন্তু, মার্কেট অ্যানালিসিস্টদের মতে এই পতনের মধ্যেও মিডক্যাপ এবং স্মলক্যাপ শেয়ারের ভ্যালু অনেকটাই উচ্চ রয়েছে। নিফটি স্মলক্যাপ ইনডেক্সে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে নিজেদের উচ্চতম স্তর থেকে ২০ শতাংশের বেশি পতন হয়েছে। অন্য ,দিকে নিফটি মিডক্যাপ ইনডেক্সের ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর মাসে নিজেদের উচ্চতম স্তর থেকে ১৮ শতাংশের বেশি পতন হয়েছে।
বিদেশি বিনিয়োগ –
ভারতীয় রুপি কমজোরি হয়ে যাওয়ার ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতীয় শেয়ার বাজার থেকে একটানা পয়সা বের করে নিচ্ছে।। ১১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ভারতীয় বাজার থেকে ৪৪৮৬.৪১ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে এখনও পর্যন্ত ভারতীয় বাজার থেকে ১৭,১২৯.৫৩ কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে। এর আগে জানুয়ারি মাসেও ভারতীয় বাজার থেকে প্রায় ৭৮,০২৭ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছিল।
চয়েজ ব্রেকিং এর টেকনিক্যাল অ্যানালিসিস্ট আকাশ শাহ জানিয়েছেন যে, নিফটিতে একটানা পঞ্চম দিন পর্যন্ত পতন দেখা দিয়েছে। যা বাজারকে আরও বেশি কমজোরি করে তুলতে পারে। তিনি জানিয়েছেন যে, নিফটিতে ২২,৯৭০ তৎকাল সাপোর্ট রয়েছে। যদি এটা ২২,৯৭০-এর নীচে যায়, তাহলে ২২,৭৭৫ এবং ২২,৫০০ পর্যন্ত বাড়তে পারে।