গোবরকে ভার্মি কম্পোস্টে রূপান্তর করে ঘরে বসেই প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব। কীভাবে? এখানে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারের ব্যবসার সাতসতেরো নিয়ে আলোচনা করা হল।
আরও পড়ুন: মাসে মাত্র ১০০০ টাকা জমিয়ে কোটিপতি! দেখে নিন সম্পূর্ণ হিসেব!
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কৃষি পদ্ধতিরও পরিবর্তন ঘটছে। বর্তমানে রাসায়নিক কৃষি অপেক্ষা অর্গানিক কৃষির চাহিদা বেড়েছে। আর এই অর্গানিক কৃষির জন্য প্রয়োজন জৈব সারের। হিসেবে সাধারণত শাকসবজির খোসা, গোবর, বিভিন্ন গাছের পাতা ইত্যাদি জৈব সার হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য এই সমস্ত কিছুর থেকে কেঁচো সার অনেক বেশি উপযোগী। তাই ভালো ফসল উৎপাদনের জন্য বর্তমান বাজারে কেঁচো সারের চাহিদা প্রবল।
advertisement
১ মাসের বাসি গোবর খেয়ে কেঁচো মল ত্যাগ করে এবং এর সঙ্গে কেঁচোর দেহ থেকে রাসায়নিক পদার্থ বের হয়ে যে সার তৈরি হয় তাঁকে কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট বলা হয়। এটি সহজ একটি পদ্ধতি। জমির উর্বরতা বাড়াতেও এর ব্যবহার বহুল প্রচলিত। এতে ২-৩ শতাংশ নাইট্রোজেন, ১.৫ শতাংশ থেকে ২ শতাংশ সালফার এবং ১.৫ থেকে ২ শতাংশ পটাশ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের দাম বাড়ল সোনা ও রুপোর, চেক করে নিন আজ গোল্ডের লেটেস্ট রেট
বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় সহজেই কেঁচো সারের ব্যবসা শুরু করা যায়। এ জন্য ঘর তৈরি বা শেড দেওয়ারও দরকার নেই। শুধু পশুদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য জায়গাটা জাল বা বেড়া দিয়ে ঘিরে দিতে হবে।
বাজার থেকে বড় এবং টেকসই পলিথিন কিনে আনতে হবে। তারপর জায়গা অনুযায়ী ১.৫ থেকে ২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থে সেটা কেটে নিয়ে বিছিয়ে দিতে হবে মাটিতে। এবার তার উপর দিতে হবে গোবর। এর উচ্চতা ১ ফুট থেকে ১.৫ ফুট রাখতে হবে। তার ভেতর ভরে দিতে হবে কেঁচো। ২০টি বেডের জন্য প্রায় ১০০ কেজি কেঁচো লাগবে। এক মাসের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে কম্পোস্ট।
আরও পড়ুন: শীঘ্রই অ্যাকাউন্টে আসতে চলেছে টাকা, তবে এই কৃষকরা পাবেন না ১১তম কিস্তির টাকা
যেভাবে অর্গানিক কৃষির চাহিদা বেড়ে চলেছে তাতে বিক্রি ভালো হবে বলেই আশা করা যায়। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো ই-কমার্স সাইটের মাধ্যমে বিক্রি করা যায়। কাছাকাছি কোনও কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থাকলে সেখানেও যোগাযোগ করা যায়। কমপক্ষে ২০টি বেড নিয়ে ব্যবসা শুরু করলে ২ বছরের মধ্যে সেটা ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার ব্যবসায় পরিণত হবে।