ছত্তিসগঢ়ের রাজধানী রায়পুরের গোকুল নগরের বাসিন্দা রীতেশ আগরওয়াল। ২০০৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। অনেক কোম্পানিতে চাকরি করলেও কোনওটাতেই মন টেঁকেনি। রীতেশের নিজের কথায়, ‘দেখতাম রাস্তাঘাটে গোরু-বাছর ঘুরে প্লাস্টিক খেয়ে মারা যায়। অনেক গোরু আবার দুর্ঘটনার শিকারও হয়। তাই আমি ২০১৫ সালে একটি গোশালার সঙ্গে যুক্ত হই’।
আরও পড়ুন: চলতি সপ্তাহে তৃতীয়বার বিপুল দাম বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের, আপনার শহরে কত হল ?
advertisement
ব্যস, তারপরই রীতেশের মাথায় আসে এই ব্যবসার আইডিয়া। গোবর থেকে ব্যাগ, মানিব্যাগ, প্রদীপ, ইট, এমনকী চপ্পলও তৈরি করেছেন রীতেশ। এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি বাজেট পেশ করেছেন ছত্তিসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল (Bhupesh Baghel)। বাজেটের নথিপত্র যে ব্যাগে নিয়ে বিধানসভায় গিয়েছিলেন সেটা ছিল গোবরের তৈরি। সেই ব্যাগ নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। পরে জানা যায়, মাত্র ১০ দিনে গোবর থেকে ওই ব্যাগটা তৈরি করে রীতেশের দল। এরপরই ভাইরাল হয়ে যান রীতেশ আগরওয়াল।
আরও পড়ুন: ২ বছরের মধ্যে বিদ্যুৎ চালিত দাম কমবে, মিলবে পেট্রোল চালিত গাড়ির সমান দামে!
রীতেশ জানিয়েছেন, এক কেজি গোবর থেকে দশটি চপ্পল তৈরি করা সম্ভব। আর এই চপ্পল যদি বৃষ্টিতে ভিজেও যায়, তাহলেও সমস্যা নেই। রোদে শুকিয়ে তা পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। হোলি উপলক্ষ্যে গোবর থেকে পরিবেশবান্ধব আবির এবং রঙও তৈরি করেছেন রীতেশ। এই সমস্ত বিক্রি করে প্রতি মাসে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি।পাশাপাশি তাঁর হাত ধরে অনেকের কর্মসংস্থানও হয়েছে। গোবর থেকে এই সমস্ত পণ্য তৈরি করতে ‘এক পহেল’ নামে একটি কোম্পানি খুলেছেন রীতেশ। সেখানে ২৩ জন কাজ করেন।
আরও পড়ুন: ৫৫০ শতাংশ বেড়েছে এই স্টকের বাজারদর, বিশেষজ্ঞরা বলছেন ‘আরও বাড়বে’!
বর্তমান পরিস্থিতিতে প্লাস্টিক দূষণ কমাতে সবার চেষ্টা করা উচিত। যে কারণে রীতেশরা গোবর থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি করে পরিবেশ থেকে প্লাস্টিক দূর করার চেষ্টা করছেন। গোশালায় কাজ করার সময়, রীতেশ গরু সম্পর্কিত অন্যান্য প্রকল্পেও কাজ করার সুযোগ পান। ২০১৮-১৯ সালে, ছত্তিশগড় সরকার ‘গৌঠান’ মডেল শুরু করেছিল। রীতেশও এই মডেলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর ও হিমাচল প্রদেশে গোবর থেকে বিভিন্ন জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণও নিয়েছেন।