এই পরিস্থিতিতে আসলে অধিকাংশ লোকজন এমন ব্যবসা করতে চাইছেন, যেখানে কম সময় ব্য়য় করে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব। যদিও বর্তমানে এমন ব্যবসার বিকল্প খুবই কম রয়েছে। তবে একটি ব্যবসা আছে, যা খুব কম সময়ে দারুন মুনাফার মুখ দেখাতে পারে (Business Idea)। আর সেটা হল সাবান তৈরির ব্যবসা (Soap Making Business)। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এর সমস্ত খুঁটিনাটি।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরনো গাড়ি কিনতে চান? জানেন কি তার জন্যও ঋণ পাওয়া যায়
বিপুল চাহিদা:
যাঁরা নতুন ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করছেন এবং খুব কম সময়েই ভালো টাকা উপার্জন করতে চান, তাঁদের জন্য সাবান তৈরির ব্যবসা একেবারেই আদর্শ। কারণ সাবান হল এমন একটি দ্রব্য, যা প্রতিটি ঘরে ঘরে ব্যবহৃত হয়। আর বাজারে এর চাহিদাও সব সময় তুঙ্গেই থাকে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের সাবান রয়েছে। আর বাজারে সব সময়ই সমস্ত ধরনের সাবানের চাহিদা থাকে। লোকাল মার্কেট থেকে গ্লোবাল মার্কেট - সব জায়গাতেই প্রতিনিয়ত সাবান আমদানি-রফতানি করা হচ্ছে। এর জন্য সাবান তৈরির ব্যবসা খুবই লাভজনক।
আরও পড়ুন: সোনার গয়না কিনবেন বুঝি? সাবধান, এই ৫ বিষয় মাথায় না রাখলে ঠকে বাড়ি ফিরতে হবে!
সাবান তৈরির ব্যবসা শুরু করার উপায়:
বর্তমানে সাবান তৈরি করার জন্য বাজারে এসে গিয়েছে বিভিন্ন ধরনের মেশিন। যথা - এক্সট্রুডার মেশিন, ডাই মেশিন, মিক্সচার মেশিন, কাটিং মেশিন ইত্যাদি। আর সাবান তৈরির ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমেই এই সকল মেশিনের প্রয়োজন হবে। এ-ছাড়াও সাবান তৈরির ব্যবসা শুরু করার জন্য কয়েক জন কর্মী রাখারও প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আর এর পাশাপাশি সাবান তৈরির ব্যবসা শুরু করার জন্য কমপক্ষে ১০০০ স্কোয়ার ফিট জায়গারও প্রয়োজন হবে। একটি হিসেব অনুযায়ী, মেশিন, কাঁচামাল এবং বিভিন্ন অন্যান্য প্রয়োজনীয় খরচ বাবদ সাবান তৈরির ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রথমে কমপক্ষে ৭ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করার প্রয়োজন আছে। অর্থাৎ ৭ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেই একটি ভালো সাবান তৈরির ইউনিট তৈরি করা ফেলা যেতে পারে। আর এক বার ওই ইউনিটে সাবানের উৎপাদন শুরু হয়ে গেলে সেখান থেকে প্রতি মাসে ভালো টাকা লাভ করা যাবে খুব সহজেই।