আসছে উৎসবের মরশুম, সোনার গয়না কিনবেন বুঝি? সাবধান, এই ৫ বিষয় মাথায় না রাখলে ঠকে বাড়ি ফিরতে হবে!
- Published by:Dolon Chattopadhyay
Last Updated:
যুগের সঙ্গে বদলেছে স্যাকরার লোক ঠকানোর কারিকুরিও, অতএব এবার সোনা কিনতে গেলে এই ৫ বিষয় মাথায় রাখতে ভুললে চলবে না।
শারদীয়া উৎসবের মরশুম মানেই নানা রকমের নতুন জিনিস ঘরে আনা, তার মধ্যে গয়না দিয়ে গাটি সাজিয়ে তোলাও আমাদের কেনাকাটার সাবেকি অঙ্গ। তার ওপরে ধনতেরসও আসবে দুর্গাপুজো শেষ হলেই, তখনও চলবে বিশেষ করে সোনার বিকিকিনি। ওদিকে স্যাকরা যে কেমন করে লোক ঠকায়, সে গল্প তো আমাদের কবেই বলে গিয়েছেন দক্ষিণেশ্বরের ঠাকুরও, তাঁর কামিনী-কাঞ্চনে মোহ না থাকলেও অন্যদের যে আছে, সেটা যে তিনি বিলক্ষণ জানতেন!
advertisement
advertisement
advertisement
২. সোনা যাচাই আগেকার দিনে সোনা খাঁটি কি না, তা যাচাই করতে কাজে দিক কষ্টিপাথর। এখন তার জায়গায় এসেছে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস-এর সার্টিফিকেট আর হলমার্ক। সেই হলমার্কে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস-এর স্ট্যাম্প থাকবে। থাকবে স্যাকরার পরিচিতি এবং হলমার্কের তারিখ। সেই সঙ্গে চোখ রাখতে হবে K অক্ষরে। K মানে ক্যারাট। ধরা যাক, গয়নার সোনা যদি ২২ ক্যারাট হয়, তবে তাতে সোনার ভাগ থাকবে ৯১.৬ শতাংশ, সেই মতো ৯১৬ লেখা থাকবে হলমার্কে।
advertisement
advertisement
৪. মজুরি নিয়ে দরাদরি সোনার দাম সরকারের বেঁধে দেওয়া, ওখানে স্যাকরা কারচুপি করতে পারবে না। করবে মজুরিতে। তা ৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে দরাদরি করে তা কমানোর সুবিধে থাকে, বুদ্ধিমানের মতো তাই দরদাম করাই উচিত। অনেক দোকান আবার বিশেষ বিশেষ সময়ে মজুরিতে ছাড় বা বিনা মজুরিতেই গয়না দেয়, সেই অফারের দিকেও চোখ রাখা যেতে পারে।
advertisement
৫. পাথর বসানো গয়না পাছর বসানো সোনার গয়না না কেনা-ই ভাল! পাথরে গয়নার ওজন বাড়ে, স্যাকরা সেই পুরো ওজন ধরে সোনার দাম বাড়িয়ে রাখতে পারে। এক্ষেত্রে পাথর খুলিয়ে তো আর সোনা মাপা যাবে না। ওদিকে পাথরও যে আসল, সেটাও বোঝা মুশকিল। শুধু তা-ই নয়, পাথর বসানো সোনার গয়না বিক্রি করলেও ন্যায্য দাম কিন্তু পাওয়া যায় না।