পুরনো গাড়ি কিনতে চান? জানেন কি তার জন্যও ঋণ পাওয়া যায়
- Published by:Dolon Chattopadhyay
Last Updated:
পুরনো গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়ার আগে কয়েকটা বিষয় মাথায় রাখা দরকার!
পুরনো গাড়ি খরিদ্দারির বাজার যেমন বেড়েছে, তেমনই বেড়েছে পুরনো গাড়ি কেনার ব্যাপারে ঋণ দেওয়ার সুযোগ-সুবিধে। নানা ফিনটেক সংস্থা এব্যাপারে আমাদের সাহায্য করে থাকে। সাধারণত যা খরচ পড়ে তার ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেশিরভাগ সংস্থা ঋণ দিয়ে থাকে, কেউ কেউ আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে পুরো ১০০ শতাংশই ঋণ দেয়। তা বলে কি চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়?
advertisement
advertisement
১. ডিজিটাল গোলকধাঁধা পুরনো গাড়ি কেনার প্রবণতা বাড়ছে বলেই ডিজিটাল মাধ্যমে হালে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি এব্যাপারে ঋণদানকারী সংস্থার হদিশ পাওয়া যাবে। কোনও বিশেষ একটিকে বেছে না নিয়ে এক্ষেত্রে বেশ কয়েকগুলো নিয়ে একটু গুগল সার্চ করা দরকার। তাহলেই আসল ছবিটা কী সেটা যেমন স্পষ্ট হবে, তেমনই কার কাছ থেকে ঋণ নিলে ভাল হয় সেই ব্যাপারটাও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
advertisement
২. ঠিকঠাক প্ল্যাটফর্ম কোনটা সেরা সংস্থা কী করে বোঝা যাবে? যারা সঠিক তথ্য দিচ্ছে এবং স্পষ্টাস্পষ্টি দিচ্ছে কোনও লুকোছাপা না করে- এই তো সহজ ব্যাপার! এক্ষেত্রে যা মাথায় রাখতে হবে তা হল- ঋণ মঞ্জুরির সময়সীমা বা কত দ্রুত তা পাওয়া যাচ্ছে, কাগজপত্রে সইসাবুদের বিষয়, সুদের হার- এটা কিন্তু আরও বেশ কয়েকটা সংস্থার সঙ্গে মিলিয়ে দেখে নিতে হবে কতটা কম হচ্ছে। এর পর যেটা ঠিক বলে মনে হচ্ছে, তার কাছে ঋণের দরখাস্ত করলেই হল।
advertisement
৩. সহজে ঋণ মঞ্জুরি ঋণ মঞ্জুর হওয়ার কয়েকটা নির্দিষ্ট ধাপ আছে। যেমন ডিজিটালে হলে ভিডিও কেওয়াইসি, অ্যাকাউন্ট অ্যাগ্রেগ্রেটর, ই-এনএসিএইচ এবং অবশ্যই ই-সাইনিং। যে সংস্থা এগুলোর সুবিধে দেয় এবং এই সবক'টি ধাপ পেরিয়ে আসার পরেও দিনের পর দিন ঝুলিয়ে না রেখে সঙ্গে সঙ্গে ঋণ মঞ্জুর করে দেয়, তার কাছে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ- তবে হ্যাঁ, এর জন্য সংস্থাটা নিয়ে একটু জেনে নিতে হবে, বিশেষ করে রিভইউয়ের দিকটা।
advertisement
৪. টাকার ধাক্কা জলের মতো পয়সা যাতে না বেরিয়ে যায়, সেই জন্যই তো পুরনো গাড়ি কেনা! অতএব, নিজের বাজেট আর সংস্থার সুদের হার জেনে নিয়ে মোট কত খরচ হতে পারে, সেটার হিসেব কষে রাখতে হবে। পরের ধাপে খুঁটিয়ে দেখতে হবে গাড়ির ইনস্যুরেন্স এবং রেজিস্ট্রির কাগজ- ওখানে কোনও বাড়তি খরচ হচ্ছে কি না! সেই সঙ্গে ঋণদাতা সংস্থার তরফে কোনও লুকানো খরচ আছে কি না, তা তো অবশ্যই যাচাই করে নিতে হবে।
advertisement
৫. রি-ফিনান্সিং খুব একটা জটিল কিছু বিষয় এটা নয়। কারও যদি আগে থেকেই একটা গাড়ি থাকে, তাহলে তার উপরেই ঋণ নেওয়া যায়, একে বলে রি-ফিনান্স লোন। ন্যূনতম পেপারওয়ার্ক মিটিয়ে যে গাড়িআছে, তার দামের প্রায় ২০০ শতাংশ পর্যন্ত অঙ্কের ঋণ পাওয়া যায়, সুদের হারও আহামরি কিছু হয় না। তবে ওই- এক্ষেত্রেও সংস্থা এবং তার হিডেন এজেন্ডা যাচিয়ে নিতে ভুললে চলবে না!