একই রকম ভাবে আজ পেট্রোল বা ডিজেল নিতে গেলে পাম্প ছাড়া গতি নেই। কিন্তু আগামী ১০ বছরের মধ্যে এই ভাবনায় বিপুল বদল আসতে চলেছে। কারণ বেশ কিছু ‘ডোর টু ডোর ফুয়েল ডেলিভারি’ ব্যবসা শুরু হয়েছে। যা গোটা ছবিটাকে বদলে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই শুরুর দিকে এই ব্যবসায় নাম লিখিয়ে যে কেউ মোটা টাকা আয় করতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন: SIP- তে ৩ বছরে ১০ হাজার টাকা হল ৫.১৩ লাখ! কীভাবে? দেখুন বিস্তারিত!
শুরুর কথা: তবে ফুয়েল ডেলিভারি ব্যবসা শুরু করতে হলে ভারত সরকারের কিছু নিয়ম মানতে হবে। রাষ্ট্র-চালিত পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস সেফটি অর্গানাইজেশন থেকে একটি অনুমোদন নিতে হবে। তৈরি করতে হবে কোম্পানির যথাযথ লাইসেন্স। এরপর চুক্তি করতে হবে তেল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে। সাধারণত ১০ বছরের জন্য চুক্তি হয়, তারপর পুনর্নবীকরণযোগ্য।
বিনিয়োগ: দুটি ভাগে বিনিয়োগ করতে হবে। প্রথমত ওয়েবসাইট তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণ, অফিস তৈরির মতো খরচ। দ্বিতীয়ত, ডেলিভারি সংক্রান্ত। এতে গাড়ি, জ্বালানি সংগ্রহ, চালকের বেতন ইত্যাদি রয়েছে।
কোথায় মিলবে: জ্বালানি ছাড়া জ্বালানি বিতরণ ব্যবসা হবে কী করে! তাই ধারাবাহিকভাবে ডোর টু ডোর ফুয়েল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কোনও তেল কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতেই হবে। এই ব্যবসায় এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেউ চাইবে না তাঁর জ্বালানি সরবরাহে বাধা আসুক। তাই এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কোম্পানির সঙ্গে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ক্রেডিট কার্ড খারাপ নয় মোটেই, শুধু স্মার্টলি ব্যবহারের কৌশল জানতে হবে,সেটা কেমন?
দক্ষ চালক: জ্বালানি হল দাহ্য পদার্থ। তাই নিরাপদে গ্রাহকের কাছে জ্বালানি পৌঁছে দেওয়ার জন্য দক্ষ চালকের প্রয়োজন। কীভাবে জনসংখ্যার ঘনত্বের উপর ভিত্তি করে সেরা রাস্তা বেছে নিতে হয় সেটা তাঁরাই সবচেয়ে ভালো বোঝেন।
বিনিয়োগ: একটা ট্যাঙ্কার ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার লিটার জ্বালানি ধারণ করতে পারে। এখন বাজার অনুযায়ী সেটা ঠিক করতে হবে। ৩ হাজার লিটার ট্যাঙ্কারের জন্য ২০ লাখ, ৪ হাজার লিটার ট্যাঙ্কারের জন্য ২২ লাখ এবং ৬ হাজার লিটার ট্যাঙ্কারের জন্য ২৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। তাই আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচ ধরে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকায় এই ব্যবসা শুরু করা যায়।
আরও পড়ুন: দাম কমল অপরিশোধিত তেলের দাম, দেখে নিন আজকে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কত হল
আয়: তেলের কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির সময়েই তারা মার্জিন ঠিক করে দেবে। খুচরো আউটলেটের সঙ্গে টাই আপ করতে চাইলে পারস্পরিক সম্মতি অনুযায়ী দাম ঠিক হবে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ব্যবসায়ী বাজারের প্রয়োজন অনুযায়ী বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন। তাই মোটা অঙ্কের লাভ যে হবে সেটা বলাই বাহুল্য।