এখন কেউ অবসর পরিকল্পনা শুরু করলে আর্থিক উপদেষ্টার সাহায্য নিতে পারেন। অবসর পরিকল্পনা মানে অবসর গ্রহণের পরে যে অর্থের প্রয়োজন হবে তা অনুমান করা। এখন এই পরিমাণ জমা করার জন্য, একজনকে তার ঝুঁকির ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে একটি সঞ্চয় এবং বিনিয়োগ পরিকল্পনা করতে হবে। অবসর পরিকল্পনার জন্য যে কেউ ফিক্সড ডিপোজিট, ঋণ তহবিল বা ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ করতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন: এই ১০ স্টকে ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে বিপুল লাভের সম্ভাবনা, এটাই কি কেনার সঠিক সময়
মনে রাখতে হবে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অবসর গ্রহণের জন্য বিনিয়োগ শুরু করা উচিত। কারণ বয়স ও দায়িত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতাও কমতে থাকে। অতএব, অবসর গ্রহণের আগে, বিনিয়োগকারীর উচিত সরকারি সঞ্চয় প্রকল্পে তহবিল স্থানান্তর করা। কারণ এখানে বিনিয়োগকারীর টাকা সম্পূর্ণ নিরাপদ।
আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারে পতনের সময় মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ কতটা উপকারি?
পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড: বিশেষজ্ঞরা বলেন, অবসরকালীন তহবিলের জন্য সবচেয়ে ভালো পিপিএফ। এর মেয়াদ ১৫ বছর। প্রতি বছর অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকা জমা করা যায়। ১৫ বছর পরে আরও ৫ বছর এই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। পিপিএফে বিনিয়োগ করলে আয়করের ৮০সি ধারার অধীনে কর ছাড়ের সুবিধা মেলে। বর্তমানে এই প্রকল্পে ৭.১ শতাংশ হারে বার্ষিক সুদ পাওয়া যাচ্ছে। চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের সুবিধা মেলে।
আরওপড়ুন: আজ আরও সস্তা হল সোনা, কেনার আগে দেখে নিন আপনার শহরে ১০ গ্রামের লেটেস্ট দাম
জাতীয় পেনশন প্রকল্প: অবসরকালীন তহবিলের জন্য আরও একটি ভালো প্রকল্প হল ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম বা এনপিএস। এতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর নিয়মিত টাকা দেওয়ার সুযোগ আছে। যা পরবর্তীকালে পেনশন হিসেবে পাবেন গ্রাহক। দুই ধরনের এনপিএস অ্যাকাউন্ট খোলা হয় টিয়ার-১ এবং টিয়ার-২। টিয়ার ১ হল প্রাথমিক অ্যাকাউন্ট এবং টিয়ার ২ হল স্বেচ্ছাসেবী অ্যাকাউন্ট। মেয়াদ শেষের পর বার্ষিক স্কিমে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। এই বার্ষিক থেকেই প্রতি মাসে পেনশন পাওয়া যায়। উল্লেখ্য কয়েকটি ছাড়া প্রায় সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক, বহু আর্থিক সংস্থা, ব্রোকিং সংস্থাকে পয়েন্ট অব প্রেজেন্স (পিওপি) হিসেবে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। তাদের যে কোনও একটিতে এনপিএস-অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।