আসলে জাফরান হল এমন একটি ফসল, যার চাহিদা সব সময়ই থাকে। ৩ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে জাফরান চাষ করে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করা যেতে পারে। অর্থাৎ এই ফসল চাষ করলে দ্বিগুণ লাভ করা যাবে। জাফরান অত্যন্ত মূল্যবান একটি ফসল, তাই একে ‘লাল সোনা’-ও বলা হয়। ভারতে প্রতি কেজি জাফরানের দাম ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। জাফরানে চাষে ১০ ভালভ বীজ ব্যবহার করা হয়, যার দাম প্রায় ৫৫০ টাকা।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার ট্রেনে এই জিনিসগুলো নিয়ে উঠলে হতে পারে হাজতবাস
বীজ বপনের সঠিক সময়:
জাফরান বীজ রোপণের আগে জমিতে ভাল ভাবে হাল চালাতে হয়। এর পাশাপাশি প্রতি হেক্টর জমিতে ৯০ কেজি নাইট্রোজেন, ৬০ কেজি ফসফরাস ও পটাশ এবং ২০ টন গোবর সার দিয়ে মাটি নরম করে নিতে হয়। মাটি ভাল হলে জাফরানের চাষও ভাল হয়। পার্বত্য এলাকায় জাফরান চাষ শুরু করার উপযুক্ত সময় হল জুলাই মাস থেকে অগাস্ট মাস। সমতল ভূমিতে জাফরান চাষ করতে হলে সে-ক্ষেত্রে অবশ্য বীজ রোপণের উপযুক্ত সময় হল ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মার্চ মাসের মধ্যে।
গ্রীষ্মকালে হয় চাষ:
গরমের দিনে জাফরানের চাষ ভাল হয়। সাধারণত ১৫০০ মিটার থেকে ২৫০০ মিটার উচ্চতায় এই ফসল চাষ ভাল হয়। শীতকালে জাফরানের চাষ একদমই ভাল হয় না।
আরও পড়ুন: কোটি কোটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে এসেছে টাকা, আপনার ব্যালেন্স চেক করেছেন
কোন মাটিতে চাষ হয়?
বেলে কিংবা দো-আঁশ মাটিতে জাফরান চাষ সবচেয়ে ভাল হয়। তবে অন্যান্য মাটিতেও এই ফসলের চাষ করা যেতে পারে। জাফরান চাষের ক্ষেত্রে জমিতে একদমই জল জমতে দেওয়া যাবে না, কারণ এটি ফসলের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
কত টাকা আয় করা যাবে?
জাফরান চাষ করে ভাল আয় করা যেতে পারে। যদি মাসে অন্তত ২ কেজি জাফরান উৎপাদন করা যায়, তবে খুব সহজেই মাসিক প্রায় ৬ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব হবে। এই ফসল দোকানদার কাছে কিংবা অনলাইনেও বিক্রি করা যাবে।
স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী জাফরান:
জাফরান স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণই উপকারী। আর পেটের নানা সমস্যার সমাধানে জাফরান ব্যবহার করা হয়।