এদিন বাজেটে কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লক্ষ কোটি টাকা বাড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী। সংসদে নির্মলা বলেন, ‘পশুপালন, দুগ্ধ এবং মৎস্য খাতে ফোকাস করে কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লক্ষ কোটি টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে’। প্রসঙ্গত, ভারতীয় কৃষি খাত গত ৬ বছরে বার্ষিক ৪.৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘দরিদ্ররা বঞ্চিত হয়েছে, একাংশ লাভবান হয়েছে’, বাজেট নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধনা মমতার
advertisement
কৃষি ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ একনজরে:
· উদ্যানপালনে ২২০০ কোটি ব্যয় করা হবে।
· কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লক্ষ কোটি টাকা বেড়েছে।
· ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য ১০ লক্ষ কোটি টাকার মূলধন ব্যয়, ৩৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
· আবাসন ব্যয় বাড়িয়ে ৭,৯০০ কোটি টাকা করার পরিকল্পনা।
· দুর্বল উপজাতীয় গোষ্ঠীর উন্নয়নে তিন বছরে ১৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
· ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লক্ষ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
· রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডিসেম্বরে নন-ফুড ব্যাঙ্ক ক্রেডিট বেড়েছে ১৪.৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৯.৪ শতাংশ বেশি।
· যাই হোক, ডিসেম্বরে কৃষি এবং আনুষাঙ্গিক ঋণের পরিমাণ ১১.৫ শতাংশ। যা এক বছর আগের তুলনায় কিছুটা কম (১৪.২ শতাংশ)। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কৃষি এবং আনুষাঙ্গিক মোট বকেয়া ব্যাঙ্ক ঋণ ১৬.৩ লক্ষ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। ২০২১-২২-এর শেষ থেকে যা ১.৬৯ লক্ষ কোটি টাকা বেশি।
আরও পড়ুন: আয়করে বিপুল ছাড়, দাম কমছে বেশ কিছুর! বাজেটে কতটা লাভ মধ্যবিত্তের
· আইনি সংস্কার বাতিল করার পরেও কৃষিক্ষেত্রের সংস্কার অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
· বাজেটে কৃষির জন্য ওপেন-সোর্স ডিজিটাল পরিকাঠামো এবং গ্রামীণ এলাকার যুবকদের কথা মাথায় রেখে ‘অ্যাকসিলেটর ফান্ড’-এর ঘোষণা করা হয়েছে।
· এই পদক্ষেপগুলি কৃষি কৃষি প্রযুক্তি শিল্পকে সাহায্য করবে। কৃষি খাতকে উৎসাহ জোগাবে। উল্লেখ্য কৃষি ক্ষেত্রেই দেশের প্রায় অর্ধেক কর্মশক্তি নিযুক্ত।
নয়া কৃষি বিল নিয়ে নাজেহাল অবস্থা হয় কেন্দ্রের। কৃষকদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে সেই বিল প্রত্যাহারও করে নেওয়া হয়। তারপরেও বাজেটে কৃষিক্ষেত্রের সংস্কারে একাধিক পদক্ষেপ নিতে পিছ-পা হয়নি কেন্দ্র। বাজেটে কৃষির জন্য ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম তৈরির ঘোষণা করেছেন নির্মলা। গ্রামীণ এলাকার যুবকদের কৃষি স্টার্টআপে উৎসাহিত করতে ‘অ্যাকসিলেটর ফান্ড’ স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। এই পদক্ষেপগুলি কৃষি-প্রযুক্তি ক্ষেত্রকে আরও উৎসাহিত করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাজেটে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লক্ষ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছেন অর্থমন্ত্রী। ২০২২ সালে সামগ্রিকভাবে ব্যাঙ্ক ক্রেডিট বেড়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডিসেম্বরে নন-ফুড ব্যাঙ্ক ক্রেডিট বেড়েছে ১৪.৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় ৯.৪ শতাংশ বেশি। যাই হোক, ডিসেম্বরে কৃষি এবং আনুষঙ্গিক ঋণের পরিমাণ ১১.৫ শতাংশ। যা এক বছর আগের তুলনায় কিছুটা কম (১৪.২ শতাংশ)। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কৃষি এবং আনুষঙ্গিক মোট বকেয়া ব্যাঙ্ক ঋণ ১৬.৩ লক্ষ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। ২০২১-২২-এর শেষ থেকে যা ১.৬৯ লক্ষ কোটি টাকা বেশি।
আগের বাজেটে, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রকের জন্য মোট বরাদ্দ ছিল ১.৩২ লক্ষ কোটি টাকা। এটি এক বছরের আগের তুলনায় ০.৭ শতাংশ বেশি। প্রকৃত অর্থে কৃষি খাতের জন্য বরাদ্দে খুব বেশি বৃদ্ধি হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খামারে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে বাণিজ্যিকীকরণ ও বৈচিত্র্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। খামার সংস্কারের জন্য আধুনিক ভূমি রেকর্ডগুলি সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।