রাইট রিসার্চের প্রতিষ্ঠাতা সোনম শ্রীবাস্তব মনে করছেন আসন্ন বাজেটে কেন্দ্র সরকার ৬টি বিশেষ ক্ষেত্রে ফোকাস করবে। সেগুলি হল – উৎপাদন, মূলধনী পণ্য, প্রতিরক্ষা, স্থায়িত্ব, রেলওয়ে এবং বেসরকারি খাতের ব্যাঙ্কগুলোয় নতুন বিনিয়োগ।
আরও পড়ুন: Union Budget 2023: তারিখ, সময়, প্রত্যাশা, কখন এবং কোথায় লাইভ দেখবেন? জেনে নিন এখানে
২০২২ সাল বিনিয়োগকারীরা কার্যত নাকানিচোবানি খেয়েছেন। ক্রিপ্টো ক্র্যাশ, কর্মী ছাঁটাই, মুদ্রাস্ফীতি এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। সব মিলিয়ে জেরবার অবস্থা। তবে এর মধ্যে কিছু ঘটনার আগাম ইঙ্গিত ছিল। কিছু ঘটনা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। বেশ কিছু সেক্টর শেষ মুহূর্তে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিনিয়োগকারীরা বুঝেছেন, একটা জায়গায় অতিরিক্ত অর্থ ঢাললে খোয়া যাবার সম্ভাবনাও থাকে। সোজা কথায়, এটা ছিল শেখার বছর।
advertisement
নতুন বছরে পদার্পণ করেছে বাজার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার ক্রমবর্ধমান আশঙ্কা এবং উদীয়মান বাজারের তুলনায় ভারতীয় ইক্যুইটির অত্যধিক মূল্যায়ন নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। কিন্তু তার পরেও ভারতীয় বাজারের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে বিনিয়োগকারীদের। এর একমাত্র কারণ, ভারতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির অনুমান আশাব্যাঞ্জক। তাই বাজেটে এই বিষয়গুলির প্রভাব থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সঙ্গে এও বলছেন, ২০২৩ সালে ভারতীয় বাজার বৈশ্বিক মন্দায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তবে ডুবে যাবে না।
আরও পড়ুন: বাড়ল না পড়ল? আজ কত যাচ্ছে সোনা-রুপোর দাম ? দেখে নিন এখানে
২০২২ সালে সেরা পারফর্ম করেছে ব্যাঙ্ক, অটো এবং ক্যাপিটাল গুডস সেক্টর। ২০২৩ সালেও এই ধারা বজায় থাকবে বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা পরবর্তী সময়ে ভারতীয় অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল হবে বলে ধারণা। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এলেই বেশ কিছু খাত ফের জেগে উঠবে। এর মধ্যে গার্হস্থ্য ব্যবহার, ভ্রমণ এবং হসপিটালিটি সেক্টর অন্যতম। ক্রমবর্ধমান ক্রেডিট প্রবৃদ্ধি এবং শক্তিশালী ব্যালেন্স শিটের সঙ্গে ব্যাঙ্কগুলোও ভাল পারফর্ম করছে। ফলে সুদের হার কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বাজেটে পরিকাঠামো বিভাগ, বিশেষ করে প্রতিরক্ষা এবং রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত স্টকগুলো নয়া উড়ান দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভর্তুকির কারণে চিনি, সার, টেক্সটাইল এবং কাগজের মতো অন্যান্য সেক্টরও বাড়বে। তাই বৈশ্বিক অস্থিরতা স্বত্বেও ভারতে বেসরকারি বিনিয়োগ শক্তিশালী থাকবে।