পরিসংখ্যান বলছে, গত ৩ মাসে মিউচুয়াল ফান্ডগুলোতে ১০ থেকে ১৫ শতাংশের পতন হয়েছে। এসআইপি থেকে যাঁরা ভাল লাভ পাচ্ছিলেন, তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। পোর্টফোলিও পুরো লাল। প্রায় সব ফান্ড নিম্নমুখী।
শেয়ার বাজারে পতন হলে এসআইপি বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়ে। এটা স্বাভাবিক। তবে মাথায় রাখতে হবে, এসআইপি দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ কৌশল। যদি কেউ কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ বছর বিনিয়োগ করেন, তাহলে ভাল রিটার্ন পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন: বছরে ১৫ লাখ টাকা রোজগার? নতুন না কি পুরনো, কোন কর ব্যবস্থা আপনার জন্য লাভজনক দেখুন
এখন শেয়ার বাজারের পতন চলছে বলে মিউচুয়াল ফান্ডেও তার প্রভাaব পড়েছে। কিন্তু চিরকাল এমনটা চলবে না। বাজার ফের ঘুরে দাঁড়াবে। তখন পোর্টফোলিও আবার সবুজ হবে। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকারীরা লাভও পাবেন।
আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের একটাই কাজ, সেটা হল ধৈর্য ধরে রাখা। যাঁরা এসআইপিতে বিনিয়োগ করছেন, তাঁদের বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে হবে। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যাঁদের নির্দিষ্ট আর্থিক লক্ষ্য রয়েছে, তাঁদের সতর্কতার সঙ্গে পরিকল্পনা করতে হবে।
ইটিএ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৬ মাসে বেশ কিছু ইক্যুইটি মিউচুয়াল ফান্ডে ১৫ শতাংশের বেশি পতন হয়েছে। যেমন কোয়ান্ট এলএসএস ট্যাক্স সেভার ফান্ড পড়েছে ১৯.০৮ শতাংশ। এছাড়া কোয়ান্ট অ্যাক্টিভ ফান্ড ১৮.৩৭ শতাংশ, কোয়ান্ট ভ্যালু ফান্ড ১৭.৮২ শতাংশ, কোয়ান্ট ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ড ১৭.৬৯ শতাংশ, স্যামকো ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ড ১৭.৬৫ শতাংশ, মোতিলাল ওসওয়াল ফোকাসড ফান্ড ১৭.৫৮ শতাংশ, স্যামকো এলএসএস ট্যাক্স সেভার ফান্ড ১৭.৫২ শতাংশ, শ্রীরাম ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ড ১৭.২১ শতাংশ, কোয়ান্ট মিড ক্যাপ ফান্ড ১৭.০৪ শতাংশ, শ্রীরাম এলএসএস ট্যাক্স সেভার ফান্ড ১৬.৭০ শতাংশ, এনজে ফ্লেক্সি ক্যাপ ফান্ড ১৬.২০ শতাংশ, জেএম ভ্যালু ফান্ড ১৫.৬১ শতাংশ, আইটিআই ভ্যালু ফান্ড ১৫.৫৯ শতাংশ, টরস মিড ক্যাপ ফান্ড ১৫.৪৩ শতাংশ এবং কোয়ান্ট লার্জ অ্যান্ড মিড ক্যাপ ফান্ড ১৫.৩৫ শতাংশ পড়েছে।
আরও পড়ুন: কোন কোন জিনিসপত্রের দাম বাড়বে? কমবে কোনগুলো? বাজেটের আগে সামনে এল ট্রেন্ড, রইল সম্পূর্ণ তালিকা
শেয়ার বাজারের পতনের পিছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে বড় অঙ্কের টাকা তুলে নিচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা। যেমন আমেরিকায় সুদের হার বাড়ানো এবং ট্রাম্পের ট্যারিফ হুমকি। বিনিয়োগকারীরা দোলাচলে ভুগছেন। পাশাপাশি, মূল্যস্ফীতি এবং ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বাজার পতনের অন্যতম কারণ বলে অনুমান করা হচ্ছে।
