ঘরে কতটা রুপো রাখা যেতে পারে
ভারতে রুপো বা সোনা রাখা সম্পূর্ণ বৈধ, যদি কেউ এটি বৈধভাবে কিনে থাকেন। অর্থাৎ, যদি কেউ একজন অনুমোদিত জুয়েলার্স, ডিলার বা ব্যাঙ্ক থেকে প্রতি বছর ৫ কেজি রুপো ক্রয় করেন এবং বিল বা ট্যাক্স রসিদ থাকে, তাহলে সরকার থামাতে পারবে না। ভারতে একজন ব্যক্তির কাছে কত পরিমাণ রুপো থাকতে পারে, তার উপর সরাসরি কোনও আইনি বিধিনিষেধ নেই।
advertisement
২০ বছরে ১০০ কেজি রুপো জমা করলেও তা আইনের পরিপন্থী নয়। এতে কেবল প্রমাণ করতে হবে, যে রুপো বৈধ আয় থেকে কেনা হয়েছে। যদি তদন্তে দেখা যায় যে, আয়ের উৎস প্রকাশ না করেই প্রচুর পরিমাণে রুপো ক্রয় করা হচ্ছে, তাহলে আয়কর বিভাগ প্রমাণ চাইতে পারে। এই ধরনের ক্ষেত্রে সম্পত্তিটিকে অঘোষিত আয় হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: কোন ব্যাঙ্ক কার সঙ্গে জুড়তে পারে, আপনার কী সুবিধা-অসুবিধা হবে জেনে নিন সেটাও
কখন মূলধন লাভ কর দিতে হবে
রুপোকে একটি মূলধন সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কেউ যখন এটি বিক্রি করে, তখন অর্জিত যে কোনও লাভ করযোগ্য। ১২ মাসের আগে বিক্রি করলে এটি স্বল্পমেয়াদী মূলধন লাভ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং আয় অনুসারে কর ধার্য করা হবে। ১২ মাস পরে বিক্রি করলে এটি দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভ হিসেবে বিবেচিত হবে, যা প্রায় ২০% হারে কর ধার্য করা হয় এবং সূচকীকরণ সুবিধার সাপেক্ষে। এর অর্থ হল ক্রয়ের সময় কোনও কর নেই, তবে বিক্রয়ের সময় সরকারকে একটি অংশ দিতে হবে।
ক্রয়ের উৎস প্রমাণ করা গুরুত্বপূর্ণ
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ক্রয়ের বিল, ইনভয়েস বা ব্যাঙ্ক লেনদেনের রেকর্ড থাকা। যদি কেউ নগদে একটি বড় ক্রয় করে এবং তার উৎস প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে এটি কালো টাকা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। অতএব, যে কোনও বড় বিনিয়োগ স্বচ্ছ রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: এফডির চেয়ে বেশি রিটার্ন চান? ৫ বিনিয়োগের বিকল্প বিবেচনা করার মতো, দেখে নিন এক ঝলক
সরকার যদি তদন্ত করে
যদি কর কর্মকর্তারা দেখেন যে, রুপোর মূল্য ঘোষিত আয়ের চেয়ে বেশি, তাহলে তাঁরা এর উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতে পারেন। এই ধরনের ক্ষেত্রে আয়কর আইনের ধারা ৬৯এ প্রযোজ্য, যার ফলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে এবং কর ও জরিমানা উভয়ই আরোপ করা যেতে পারে। অতএব, প্রতিটি ক্রয়ের প্রমাণ রাখাই সবচেয়ে নিরাপদ পদক্ষেপ।
