নগদে বাড়ি কেনার প্রক্রিয়া: বাড়ি কেনার জন্যে মোটা টাকার প্রয়োজন। ব্যাঙ্কে সেই টাকা থাকতে হবে। না হলে সঞ্চয় বা বিনিয়োগ ভাঙাতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, সম্ভাব্য বিক্রেতা নগদ আছে কি না তার প্রমাণও চাইতে পারে, যেমন সাম্প্রতিক ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট। এরপর শুরু হবে আসল প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: ATM কার্ডের পিন নম্বর ভুলে গিয়েছেন ? এবার কী তাহলে কার্ড ব্লক হয়ে যাবে ? জেনে নিন
advertisement
বাড়ি কেনার জন্যে নগদ অর্থ প্রদানের সুবিধা: বাড়ি কেনার জন্যে নগদ অর্থ প্রদানের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এমনকী আর্থিক সুবিধাও পাওয়া যায়। যেমন –
আকর্ষণীয় ক্রেতা: যখন বিক্রেতা জানতে পারেন যে ক্রেতা বন্ধকের আবেদন না করে নগদে বাড়ি কিনতে চান, তখন ক্রেতার গুরুত্ব বেড়ে যায়। বন্ধকী প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। আবেদন মঞ্জুর নাও হতে পারে। নগদে বাড়ি কিনতে চাইলে সে সব ঝামেলা নেই।
ভাল চুক্তি হতে পারে: নগদে বাড়ি কিনতে চাইলে দর কষাকষির জায়গা থাকে। বিক্রেতার টাকার দরকার। সে জন্যেই বাড়ি বিক্রি করছে। সেটা পুরো নগদে পেলে তারই সুবিধা। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ক্রেতা দর কষাকষি করতে পারেন।
বন্ধকী অর্থ প্রদানে রাতের ঘুম নষ্ট হবে না: প্রতি মাসে বন্ধকীর টাকা মেটাতে হয়। মোটা অঙ্কের টাকা, দীর্ঘ মেয়াদে চলে। চাকরি হারানো বা অন্য কোনও কারণে আয় বন্ধ হয়ে গেলে টাকা মেটানোও বন্ধ হয়ে যাবে। এই দুশ্চিন্তা ক্রেতাকে কুরে কুরে খায়। নগদে বাড়ি কিনলে রাতের ঘুম নষ্ট হবে না।
বাড়ি কিনতে নগদ অর্থ প্রদানের অসুবিধা: নগদে টাকা মেটানোর সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধাও আছে। সেগুলিও মাথায় রাখতে হবে। যেমন –
একটি সম্পদ শ্রেণীতে প্রচুর টাকা ব্যয়: নগদে বাড়ি কেনা এক ধরনের বিনিয়োগ। কিন্তু সেটা লাভজনক নয়। বিনিয়োগের উপর রিটার্নের ক্ষেত্রে রিয়েল এস্টেট স্টকের থেকে ঐতিহাসিকভাবে পিছিয়ে। এই কারণেই বেশিরভাগ আর্থিক পরিকল্পনাকারী বলেন, বাড়িকে বিনিয়োগের বদলে থাকার জায়গা হিসেবে ভাবুন।
লিকুইডিটি নষ্ট হয়: লিকুইডিটি বলতে বোঝায়, কত দ্রুত বিনিয়োগ থেকে নগদ বের করে নেওয়া যায়, যখন প্রয়োজন হয়। বেশিরভাগ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই সঙ্গে সঙ্গে নগদ পাওয়া যায়। মিউচুয়াল ফান্ড এবং ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্টগুলি একটু সময় নিতে পারে, তবে বেশি নয়। একটি বাড়ি, সহজেই বিক্রি করতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।