প্রথমে দেখে নেওয়া যাক মিউচুয়াল ফান্ড কী কী সুবিধা দিচ্ছে-
১. বিনিয়োগে বৈচিত্র্য
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলেন সব সময়েই- পুরো টাকা একসঙ্গে বিনিয়োগ না করে নানা খাতে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। এদিক থেকে দেখলে মিউচুয়াল ফান্ড প্রবীণ নাগরিকদের বিনিয়োগের পোর্টফোলিওতে যেমন বৈচিত্র্য আনে, তেমনই একটা ভাল অঙ্কের রিটার্নও নিশ্চিত করে।
advertisement
আরও পড়ুন: NSC-তে বিনিয়োগ করেই হতে পারেন কোটিপতি, জেনে নিন কীভাবে!
২. অটোমেটিক উইথড্রয়াল
যে কোনও সময়ে প্রবীণ নাগরিকরা চাইলে ফান্ডের টাকা তুলে নিতে পারেন, আবেদনের সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় টাকা স্থানান্তরিত হয়ে যায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
৩. ইএলএসএস এবং করছাড়
যদি কেউ আয়করের পুরনো স্ল্যাব বেছে নেন এবং দীর্ঘমেয়াদে টাকা না খাটান, তাহলে সেকশন ৮০সি-র অধীনে ইএলএসএস কর বাঁচানোর ভাল উপায়।
আর অসুবিধাগুলো?
১. ফান্ড ফি
মিউচুয়াল ফান্ডের ফি এবং অন্য খরচের হিসেবটা যদি মাথায় রাখা যায়, তাহলে একটা বড় অঙ্কের টাকা খরচ হচ্ছে বলতেই হবে, এটা বৃদ্ধ বয়সে লোকসান তো বটেই।
২. বাজারের অস্থিরতা
মিউচুয়াল ফান্ড বাজারের ওঠা-পড়ার ওপরে নির্ভর করে রিটার্ন দেয়, এই ঝুঁকির খেলা বৃদ্ধ বয়সে সবার পক্ষে সম্ভব নয়।
৩. বিশেষ কর ছাড়
প্রবীণ নাগরিকদের বিশেষ কোনও কর ছাড়ের সুবিধা দেয় না মিউচুয়াল ফান্ড।
৪. সময় এবং পরিকল্পনা
মিউচুয়াল ফান্ডে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগই একমাত্র লাভদায়ক, কিন্তু সেই সময় এবং বিনিয়োগের বাজার বুঝে পরিকল্পনা বৃদ্ধ বয়সে সম্ভব নয়।
তবে এত কিছুর পরেও এটা মেনে নিতেই হয়যে সাবেকি বিনিয়োগের মাধ্যমের তুলনায় মিউচুয়াল ফান্ড বেশি রিটার্ন দেয়। তাই চাইলে প্রবীণ নাগরিকেরা আর্থিক উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলে এগোতে পারেন, বিশেষজ্ঞ তাঁদের প্রয়োজন বুঝে বিনিয়োগের ধরন ঠিক করে দিলে ঝুঁকির পরিমাণ কমে আসবে।