অবশ্য করোনার সময় অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৩ মার্চ সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছিল এইচডিএফসি। ক্ষতি হয়েছিল ১২.৭ শতাংশ। বর্তমানে ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকেও ফলাফলে খুব একটা বদল হয়নি। বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ সংস্থা স্টকের লক্ষ্য মূল্য কমিয়ে দেয়। সেটাই পতনের দিকে নিয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গত তিন ত্রৈমাসিকে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের লাভের হার ৩৩ শতাংশ। টাকার অঙ্কে ১৬,৩৭৩ কোটি টাকা। এই লাভ এসেছে মূলত ১৫০০ কোটি টাকার ট্যাক্স প্রভিশনের ওয়ান-অফ রাইট-ব্যাক থেকে।
advertisement
এই পরিস্থিতিতে এইচডিএফসি-র শেয়ার কেনা উচিত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দালাল স্ট্রিটে অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাঙ্কই লোকসানের মুখে পড়েছে। এইচডিএফসি-ও ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু এখনও দীর্ঘমেয়াদি পোর্টফোলিওর ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি ব্রোকারেজ সংস্থা এইচডিএফসি-র শেয়ার কেনার পক্ষেই রায় দিচ্ছে। ২৫-২৬ অর্থবর্ষে আয় ২-৩ শতাংশ কমার ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে। জেফারিস লক্ষ্য মূল্য কমিয়ে ২০০০ টাকা থেকে ২১০০ টাকা করেছে। তবে বাই রেটিং বজায় রেখেছে।
কোম্পানি ম্যানেজমেন্ট হাই লিকুইডিটির কারণে আমানত বৃদ্ধির উপর ক্রমাগত প্রতিযোগিতামূলক চাপের দিকে ইঙ্গিত করেছে। মনে করা হচ্ছে, সামগ্রিক সম্পদের মিশ্রণে খুচরো সম্পদের বৃহত্তর অবদান মার্জিনকে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে। জেএম ফিনান্সিয়াল বলছে, ‘আগামীদিনে চাপ বাড়বে এটা মাথায় রেখেও বলা যায়, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকির এবং স্বাস্থ্যকর প্রবৃদ্ধির জন্য ভাল অবস্থানে রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের লক্ষ্যমূল্য ২,০১০ টাকায় এইচডিএফসি-র শেয়ার কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়’।
বিএনপি পরিবারের শান্তনু চক্রবর্তী বলছেন, ‘মার্জার সিনার্জিগুলি এখনও শুরু হয়নি। এটা ছাড়াই এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক প্রায় ১৮ শতাংশ আরওএ করেছে। এটাই আরও বাড়লে কী হতে পারে অনুমান করুন। ১৮ শতাংশ আরওই ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা যথেষ্ট অর্থপূর্ণ’।