ইনসাইডার ট্রেডিং কাকে বলে: যখন কোনও কোম্পানির নির্বাহী বা এর ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তি তাঁর (কোম্পানির) অভ্যন্তরীণ তথ্যের ভিত্তিতে শেয়ার ক্রয় বা বিক্রি করে বিপুল মুনাফা করেন, তখন তাকে ইনসাইডার ট্রেডিং বলে।
একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বোঝা যাক। ধরা যাক 'ক' একটি নির্মাণ কোম্পানি। সরকারের কাছ থেকে খুব বড় কোনও প্রকল্প পেতে তিনি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছেন। সরকার এই প্রকল্প কোম্পানিকে দিতে রাজি। এই তথ্য কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে রয়েছে। তাঁরা জানেন এই খবর প্রকাশ্যে এলেই তাঁদের কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: বীরভূমে এসে 'নবান্ন' খেলেন সুকান্ত মজুমদার, সঙ্গে ভুরিভোজ! কী ছিল তালিকায়?
এবার এই আগাম খবর জানার সুবিধা নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরাসরি বা অন্য কারও অ্যাকাউন্টে কোম্পানির শেয়ার কিনে রেখে দেয়। তারপর সেই খবর ছড়িয়ে দেয় বাজারে। কোম্পানির শেয়ার দর বাড়তে শুরু করে। তখন তারা শেয়ার বিক্রি করে লাভবান হয়। এই প্রক্রিয়াটাকেই বলা হয় ইনসাইডার ট্রেডিং।
নতুন নিয়মে কী বলা হল: এখনও পর্যন্ত এই নিয়ম পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। এখন এটি মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটগুলিতে প্রয়োগ করা হবে। সেবি বৃহস্পতিবার জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, 'কোনও অভ্যন্তরীণ ব্যক্তির কাছে যদি কোনও সংবেদনশীল তথ্য থাকে, যা একটি স্কিমের নেট সম্পদ মূল্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে তাহলে তিনি মিউচুয়াল ফান্ডের একটি স্কিমের ইউনিটে লেনদেন করতে পারবেন না’।
আরও পড়ুন: ইএমআই ভাল না এক লপ্তে ক্যাশ পেমেন্ট? কেনার আগে এই কথাগুলো না জানলে ঠকতে হবে!
কেন নতুন নিয়ম আনা হল: ফ্যাঙ্কলিন টেম্পলটন মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেবি। এই মামলায় ফান্ড হাউজের কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গোপন খবরের ভিত্তিতে ঋণ প্রকল্পে তাঁদের হোল্ডিং রিডিম করার অভিযোগ রয়েছে।