এই নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে সেবি। সেখানে জানানো হয়েছে, এসসিসিবি-র কার্যকারিতা পর্যালোচনা করে এবং সময়মতো আবেদনের অর্থের উপরে স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার জন্য বাজারের মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত পরামর্শের পরে নতুন খসড়া আনা হয়েছে। এখন থেকে রেজিস্ট্রারকে এসসিএসবি-র মার্চেন্ট ব্যাঙ্কার বা ইস্যুকারীরা গোটা বিষয়টা জানাবে। তাছাড়া প্রক্রিয়াকরণ ফি দেওয়ার পর আবেদন প্রকাশে দেরি হলে জরিমানাও দিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: পুরনো ওয়াশিং মেশিন কিনছে বিশ্বের নামী কোম্পানিগুলি, কেন? পুরো বিষয়টা জানুন!
এএসবিএ হল এমন একটা প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে খুচরো বিনিয়োগকারীরা আইপিও বা এফপিও-তে বিনিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি বিনিয়োগকারীকে শেয়ার বরাদ্দ করা হলে সেই পরিমাণ টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয়। নাহলে বরাদ্দ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর এটা আনব্লক করে দেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে সেবি জানিয়ে দিয়েছে, এসসিএসবিএস যদি বিজ্ঞপ্তির নিয়মগুলো না মানে তবে তাঁদের বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ অ্যাক্টের অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সঙ্গে এও বলে দেওয়া হয়েছে, আইপিও-র জন্য যোগ্য এসসিএসবি বা ইউপিআই অ্যাপগুলি সমস্ত এএসবিএ অ্যাপ্লিকেশনের জন্য এসএমএস পাঠিয়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করবে। এছাড়া তারা ইমেলের মাধ্যমে বিল পাঠাতে পারবে। তবে ইউপিআই-এর মাধ্যমে পেমেন্ট সম্পর্কে সম্পূর্ণ বিবরণ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য বড় ঝটকা! DA নিয়ে Big Update
এনপিসিআই ইমেইলে সেবিকে বিল পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। যাতে বিনিয়োগকারীরা সঠিক সময়ে তথ্য পেতে পারেন। এসএমএস-এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীকে যে তথ্য দেওয়া হবে তাতে আইপিওর নাম, আবেদনের পরিমাণ যে তারিখে টাকা জমা করা হয়েছিল ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য জানানো হবে। এই নিয়মগুলি অবিলম্বে কার্যকর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আরবিআই রিটেইল ডিরেক্ট স্কিমের অধীনে এবার থেকে সরকারি বন্ডে ইউপিআই পেমেন্টের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা সংস্থার আইপিও-তে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করার সুযোগ পাবেন। আগে ইউপিআই মারফত এই বিনিয়োগের সীমা ছিল ২ লাখ টাকা। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস থেকে আইপিও বা ইনিসিয়াল পাবলিক অফারের জন্য ইউপিআই পেমেন্ট চালু করা হয়। ডেটা অনুযায়ী,মোট সাবস্ক্রিপশন অ্যাপলিকেশনের ১০ শতাংশ অর্থাৎ ২ থেকে ৫ লাখ টাকার আইপিও অ্যাপ্লিকেশনস জমা পড়ে। এই বিষয়টিকে সামনে রেখে ২০২০ সালের মার্চ মাসে ইউপিআই মারফত আইপিও-তে লেনদেনের অঙ্কটা ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তারপর সেটাকে ২ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ করা হয়েছে।