উল্লেখ্য, গত আর্থিক বর্ষে ভারতের কর্মীদের বেতন ৯.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের অর্ধেকেরও বেশি (৫৮ শতাংশ) নিয়োগকারী গত বছরের তুলনায় চলতি আর্থিক বর্ষে তুলনামূলক বেশি বেতন বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করছেন। যদিও এর মধ্যে এক চতুর্থাংশ (২৪.৪ শতাংশ) বাজেটে কোনও পরিবর্তন করেনি। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মাত্র ৫.৪ শতাংশ কোম্পানি ২০২১-২২ সালের তুলনায় কম বাজেট দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
advertisement
ভারতেই সবচেয়ে বেশি বেতন বৃদ্ধি হবে:
রিপোর্ট অনুযায়ী, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় (APAC) অঞ্চলে থাকা দেশগুলির মধ্যে ভারতেই সবচেয়ে বেশি বেতন বৃদ্ধি (Salary Growth) হবে। আগামী বছর চিনে ৬ শতাংশ এবং হংকং ও সিঙ্গাপুরে ৪ শতাংশ বেতন বাড়বে। ২০২২ সালের এপ্রিল এবং মে মাসে ১৬৮টি দেশে পরিচালিত একটি সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এই রিপোর্টের জন্য ভারতের মোট ৫৯০টি কোম্পানির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
আগামী ১২ মাস ব্যবসার জন্য একেবারে উপযুক্ত:
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৪২ শতাংশ কোম্পানি পরবর্তী ১২ মাসে লাভের দিকে অগ্রসর হবে। মাত্র ৭.২ শতাংশ কোম্পানিতে লোকসান হবে বলে জানানো হয়েছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টর ৫২.৯ শতাংশ, আইটি সেক্টর ৬৫.৫ শতাংশ, সেলস সেক্টর ৩৫.৪ শতাংশ, প্রযুক্তি-দক্ষতা সেক্টর ৩২.৫ শতাংশ এবং ফিনান্স সেক্টরে ১৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা হয়েছে।
আরও পড়ুন- রেকর্ড কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দীপাবলিতে দেশের চার মেট্রো শহরকে ৫জি উপহার রিলায়েন্সের
আরও পড়ুন- সংকটেও ভারতের অর্থনীতি আছে মাথা উঁচিয়ে, রিলায়েন্সের এজিএম থেকে বললেন মুকেশ আম্বানি
এই রিপোর্ট অনুযায়ী, আর্থিক পরিষেবা (১০.৪ শতাংশ), ব্যাঙ্কিং ও প্রযুক্তি (১০.২ শতাংশ) এবং মিডিয়া ও গেমিং সেক্টরে (১০ শতাংশ) সবচেয়ে বেশি বেতন বৃদ্ধি পাবে। ডব্লিউটিডব্লিউ আধিকারিক রজুল মাথুর বলেছেন, ২০২২ সালেও একই রকম বেতন বৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল এবং ২০২৩ সালেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন যে, প্রযুক্তি-নির্ভর উন্নয়নের উপর জোর দেওয়ায় ডিজিটাল স্কিলের চাহিদা বেড়েছে। আর তার জন্য আয়ও বৃদ্ধি পাবে। এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, ভারতীয় কর্মচারীদের মধ্যে স্বেচ্ছা পদত্যাগের হার প্রায় ১৫.১ শতাংশ। আর এই নিরিখে গোটা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে হংকংয়ের পরেই রয়েছে ভারতের স্থান।