আন্তঃব্যাঙ্ক বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে, ভারতীয় মুদ্রা ৭৭.৯৯ -এ খোলে এবং দিনের শেষে ৭৮.১৭-এ সর্বকালের সর্বনিম্ন স্থানে গিয়ে দাঁড়ায়। এর আগে ৭৮.০৪ এ বন্ধ হয়েছিল বাজার। সেই স্থান থেকেও ১৩ পয়সা পতন হয়।
মতিলাল ওসওয়াল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস (Motilal Oswal Financial Services)-এর বিশ্লেষক গৌরাঙ্গ সোমাইয়া (Gaurang Somaiya) বলেন, ‘আমাদের আশা, মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ৫০ bps হার বাড়িয়ে দিতে পারে। খুব চাছাছোলা ভাবে বললে, এই পতন আরও বেশ কিছুদিন অব্যহত থাকবে। বড় বড় সংস্থাগুলি চাপের মধ্যে রয়েছে বলেই ডলারের এই অবস্থা।’
advertisement
সোমাইয়া আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি USD-INR পাশাপাশি বাণিজ্য করতে পারবে। ভারতীয় টাকার দাম ৭৭.৭০ এবং ৭৮.৪০ রেঞ্জে কোট করবে।’
আরও পড়ুন: সিবিআই অফিসারদের তদন্তের ক্লাস দিলেন উপেন বিশ্বাস, শুনল গোটা এজলাস!
ডলার ইন্ডেক্স, যা মার্কিন ডলার-সহ আরও ছয়টি দেশের মু্দ্রায় বলিয়ান, তা-ও ০.৬৪ শতাংশ কমে ১০৪.৮৪-তে নেমে এসেছে। অপরিশোধিত তেলের দামও কমছে। গ্লোবাল অয়েল বেঞ্চমার্ক-এ ব্যারেল প্রতি ১.০৭ শতাংশ কমে ১১৯.৮৭ ডলার হয়েছে।
ডোমেস্টিক ইক্যুইটি মার্কেট ফ্রন্টে, BSE সেনসেক্স ১৫২.৮২ পয়েন্ট বা ০.২৯ শতাংশ কমে ৫২,৫৪১.৩৯-এ শেষ হয়েছে। যেখানে NSE নিফটি ৩৯.৯৫ পয়েন্ট বা ০.২৫ শতাংশ কমে ১৫,৬৯২.১৫-এ দাঁড়িয়েছে।
স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য অনুসারে, তাদের বিক্রির প্রসার অব্যাহত রেখে, বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা মঙ্গলবার ৪,৫০২.২৫ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করতে পেরেছে।
গত সপ্তাহেও ভারতীয় মুদ্রার পতন নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল দেশ। অপরিশোধিত তেলের দাম রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানোর পর তেলের তৃতীয় বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ ভারত তার আমদানি বিলে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখতে পেয়েছিল৷ চিনের সাংহাইয়ের কিছু জায়গায় নতুন COVID-19 লকডাউন লাগু করার পর বিশ্বব্যাপী তেলের দামে কিছু প্রাথমিক লাভ মিলেছে গত বৃহস্পতিবার।