মতিলাল অসওয়ালের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছরের মার্চ মাসে বাজারে গড় দৈনিক ক্যাশ ভলিউম ১১ শতাংশ বেড়ে ৭১,১০০ কোটি টাকা হয়েছে। তবে ধাক্কা খেয়েছে অ-প্রতিষ্ঠানিক (খুচরো) ক্যাশ ভলিউম। ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর প্রথমবার তা ৫০ শতাংশেরও নীচে নেমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-আগামিকাল ভোট, সকাল থেকেই দফায় দফায় এজেন্ট ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে শত্রুঘ্ন-বাবুল
advertisement
প্রকৃতপক্ষে পর পর দু'মাস এমন পতন হল। লাগাতার মুদ্রাস্ফীতি সামলানোই এখন খুচরো বিনিয়োগকারীদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ। ফলে বাজারে আগের চেয়ে ঝুঁকি বেড়েছে। তবে মতিলাল অসওয়ালের ওই প্রতিবেদনের লেখক গৌতম দুগড় বলছেন, ‘কয়েক মাসের ডেটা দেখেই এতটা আশঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বাজার আবার উঠবে।’
একই কথা বলছেন ইকুইনমিক্স রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভাইজারির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি চোক্কালিঙ্গম। তাঁর মতে, ‘বাজারে নগদের প্রবাহ ভালো থাকায় এই ডেটা রেডারের একটা ব্লিপ মাত্র। এর বেশি কিছু নয়’। বাজারে আরও নতুন নতুন বিনিয়োগকারীরা আসবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। চোক্কালিঙ্গম বলছেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বিক্রেতা হয়ে উঠলে বাজারের ভোল বদলে যাবে।’
আরও পড়ুন-রাজ্যে এবার বসতে চলেছে শিল্প মেলার আসর, চলবে ৫ দিন ধরে
তবে দীর্ঘমেয়াদী গড় মূল্যায়ণের তুলনায় আবার ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে নিফটি। বর্তমানে এতে ২০এক্স-এ ১২ মাসের ফরোয়ার্ডে পি/ই লেনদেন করছে। যা লং পিরিয়ড অ্যাভারেজের থেকে বেশ কিছুটা কম।
বাজারে মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব পড়ছে। যার ফলে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকির মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীরা আগেও গিয়েছেন। তাই এই সময়ের বাজারের মতি-গতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কায়দাকানুন তাঁরা জানেন বলেই আশা প্রকাশ করা হয়েছে মতিলাল অসওয়ালের রিপোর্টে।
ব্রোকাররা বলছেন, গোটা বিশ্বেই এখন টালমাটাল চলছে। এই পরিস্থিতিতে আগামীদিনেও বাজারে অস্থিরতা বজায় থাকবে। তবে দেশীয় পণ্য উৎপাদনে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। এটাকে ভাল লক্ষণ মনে করছেন তাঁরা। ব্রোকারদের মতে, এতে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার দ্রুত হবে। এই সময়ে আইটি, বিএফএসআই, রিয়েল এস্টেট, প্রতিরক্ষা এবং টেলিকম ক্ষেত্রে বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে বলে মনে করছেন তাঁরা।
মতিলাল অসওয়ালও বেশ কয়েকটি স্টকে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে। এর মধ্যে লার্জ ক্যাপগুলো হল – ইনফোসিস, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, এসবিআই, উইপ্রো, এইচসিএল টেক, এল অ্যান্ড টি, টাটা মোটর্স, এইচডিএফসি লাইফ, ডাবর ইন্ডিয়া, গোদরেজ কনজিউমার এবং অ্যাপোলো হসপিটাল। মিড এবং স্মল ক্যাপগুলি হল– কানাড়া ব্যাঙ্ক, জুবিল্যান্ট ফুড, সেল, অশোক লেল্যান্ড, ডালমিয়া ভারত, জি এন্টারটেনমেন্ট, হোয়্যারলপুল, আইসিআইসিআই সিকিউরিটিজ, জিআর ইনফ্রা, জেনসার টেক এবং মহানগর গ্যাস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন।