সার্ভিস চার্জের নামে বেআইনি মুনাফা লুটে নেওয়া ও গ্রাহক বা ক্রেতাদের প্রতারণা রুখতেই এই ব্যবস্থা নিয়েছে সিসিপএ। সংস্থার নির্দেশে বলা হয়েছে, কোনও রেস্তরাঁ বা হোটেল সরাসরি বিলের সঙ্গে সার্ভিস চার্জ জুড়ে দিতে পারবেন না। সাধারণত এই ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়, অর্থাৎ ৫০০ টাকা বিল হলে ৫০ টাকা। সংস্থা সতর্ক করে দিয়ে এও বলেছে যে সার্ভিস চার্জের নামে অন্য কোনও চার্জও নেওয়া যাবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে বিভোর? ভারতের এই দীর্ঘতম সেতু ধারেভারে অনেক এগিয়ে! জানলে চমকে উঠবেন!
এই বিষয়ে অভিযোগ জানাতে হলে ক্রেতারা জাতীয় ক্রেতাসুরক্ষা হেল্পলাইনে অভিযোগ জানাতে পারবেন। ক্রেতাদের সুরক্ষার জন্য জাতীয় স্তরে ১৯১৫ নম্বরের একটি হেল্পলাইন রয়েছে। সেটিতে ফোন করা যাবে। এ ছাড়া এনসিএইচের দফতরেও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও অভিযোগ করা যাবে। এ ছাড়া কমসিউমার কমিশনেো অভিযোগ জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের যে ই-দাখিল পরিষেবা রয়েছে, তার মাধ্যমে অভিযোগ দাখিল করতে পারবেন যে কেউ।
আরও পড়ুন: ঝুলছে স্বামী, স্ত্রী'র দেহ পড়ে খাটের উপর, মেমারিতে হাড়হিম কাণ্ড
কিন্তু কেন এই সার্ভিস চার্জের সুযোগ তুলে দেওয়া হচ্ছে। আদালতের তরফ থেকে বলা হয়েছে, কোনও রেস্তরাঁয় যে খাবারের দাম নেওয়া হয, তার মধ্যেই সার্ভিস চার্জ যুক্ত থাকে। সেটা আলাদা করে নেওয়ার মানে হয় না। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই দাম গুডস ও সার্ভিস, এই দুটি জিনিস ধরেই নির্দিষ্ট করা হয়। কারণ মেনুতে যে দাম লেখা থাকে, তাতে লেখা থাকে সমস্ত কর-সহ, তার পরেও কর নেওয়া অনৈতিক। তবে নির্দেশে বলা হয়েছে, যদি কোনও ক্রেতা সরাসরি কোনও উপহার হিসাবে অর্থ দিতে চান, যাকে টিপ বলা হয়, তা হলে সেটা কোনও হোটেল বা রেস্তরা বা হোটেলের কোনও কর্মীর সঙ্গে হতেই পারে, তার সঙ্গে বিলের কোনও যোগাযোগ থাকবে না।
এর আগেও এই ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে, তবে বাস্তবে কিছু লাভ হয়নি। সম্প্রতি একের পর এক অভিযোগে জর্জরিত হতে হচ্ছিল বর্তমান কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রককে। সেই কারণেই এ ভাবে সরাসরি আরও কঠোর ভাষায় নির্দেশিকা জারি করে ঘোষণা করে দেওয়া হল কোনও রেস্তরাঁ বা হোটেলই আর সার্ভিস চার্জের নামে কোনও অর্থ আদায় করতে পারবে না। করলে শাস্তি পেতে হবে।