যদিও এইচডিএফসি, এসবিআই-এর মতো কিছু ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই ঋণের হার বৃদ্ধি করেছে। অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলোও তাদের পথ অনুসরণ করবে বলেই অনুমান। তবে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই ঋণগ্রহীতা, বিশেষ করে বাড়ির ক্রেতাদের কাছে বড় স্বস্তি।
ব্যাঙ্কবাজারডটকম-এর সিইও আদিল শেঠি বলছেন, ‘বাস্তবতার সঙ্গে অর্থনৈতিক আকাঙ্ক্ষার মেলবন্ধন ঘটাতে চেয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাই রেপো রেটে কোনও পরিবর্তন করেনি। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই সিদ্ধান্ত শিল্পমহলে ইতিবাচক বার্তা দেবে। তাছাড়া ব্যাঙ্কের সুদের হার যে স্থিতিশীল রয়েছে, এই সিদ্ধান্তে সেই বার্তাও দেওয়া হল। যে সব বাড়ির ক্রেতারা ঋণ নিয়েছেন বা লোন নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন, অপরিবর্তিত রেপো রেট থেকে তাঁরাও উপকৃত হবেন’।
advertisement
গত কয়েক মাস ধরেই বাজারে অস্থিরতা রয়েছে। কিন্তু তারপরেও রিয়েল এস্টেটের চাহিদা কমেনি। ফ্ল্যাট বা বাড়ির ক্রেতার সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। এই সিদ্ধান্তে তাঁরা স্বস্তি পেলেন। আদিল শেঠির কথায়, ‘ঋণগ্রহীতাদের সতর্ক থাকতে হবে। উচ্চ সুদের ঋণ আগে শোধ করতে হবে। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রেও দায়িত্বশীল হতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তিরই কিছু আর্থিক দায়বদ্ধতা থাকে। অতিরিক্ত খরচ এড়াতে সময় মতো বিল পরিশোধ করে ফেলাই উচিত’।
হোম লোন গ্রহীতারা এখন কী করবেন: হোম লোনে সুদের খরচ কমাতে বেশ কিছু কৌশল নেওয়া যায়। এতে বেশ কিছু টাকা বেঁচে যাবে। যেমন-ক্রেডিট স্কোর ভাল থাকলে কম সুদে লোন পাওয়া যায়। তাই সময়ে বিল পরিশোধ এবং দায়িত্বের সঙ্গে ক্রেডিট পরিচালনা করা উচিত।
আরও পড়ুন, বাড়িতে পেঁয়াজের পাশে ভুলেও এই সবজি রাখবেন না, বড় সমস্যা কিন্তু হতে পারে
আরও পড়ুন, যাদবপুর কাণ্ডে নয়া মোড়! গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত! ‘ডিলিট’ কল হিস্ট্রি, চ্যাট….
সুদের হার তুলনা – বাড়ি কেনার জন্য লোন নেওয়ার পরিকল্পনা করলে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদের হারের তুল্যমূল্য বিচার করা উচিত। সামান্য পার্থক্যই বড় ফারাক গড়ে দিতে পারে।
ঋণদাতার সঙ্গে দর কষাকষি: জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে অনেকেই দর কষাকষি করেন। ঋণ নেওয়ার সময়েও এটা করা উচিত। ভাল ক্রেডিট স্কোর এবং স্থিতিশীল আয় থাকলে কম সুদে ঋণ পাওয়া যায়।