রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড দেশের প্রথম সারির বাণিজ্যিক সংস্থা, নানা শাখায় বিস্তৃত হয়ে রয়েছে এর মূলধন। ফলে, সুনামের মতোই তাদের রেভেনিউয়ের পরিমাণটাও যে বিশাল হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার সাহসই করেননি বাণিজ্যিক দুনিয়ার হালহকিকত যাঁদের নখদর্পণে, সেই বিশেষজ্ঞরা। তবে কার্যত কিন্তু দেখা গেল যে সংস্থার প্রথম কোয়ার্টারের রেভেনিউ ছাপিয়ে গিয়েছে প্রত্যাশাকেও। এই বিষয়ে ঠিক কী হিসেব পেশ করা হয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের তরফ থেকে?
advertisement
আরও পড়ুন: মোবাইল রিচার্জে করার সময় কেটে নিচ্ছে অতিরিক্ত টাকা? সাবধান হন এখনই
সেই হিসেব বলছে, চলতি বছরের ৩০ জুনে যে কোয়ার্টার শেষ হয়েছে, সেই পর্যন্ত সংস্থার কনসলিডেটেড প্রফিটের অঙ্কটা এসে ঠেকেছে ১৭ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকায়। মনে না রাখলেই নয় যে এটা একেবারে বিশুদ্ধ মুনাফা, বাণিজ্য খাতে যে কর বরাদ্দ হয়, তা চুকিয়েই এই লাভের মুখ দেখেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। পূর্ববর্তী বছরের এই একই সময়ের লাভের নিরিখে যদি বিচার করতে হয়, তাহলেও উন্নতির গ্রাফ বেশ আশাব্যঞ্জক- মুনাফা বেড়েছে ৪৬.৩ শতাংশ! তবে সত্যি বলতে কী, এই লাভের মুখ দেখা একরকম হিসেবের মধ্যেই পড়ে। মুকেশ আম্বানি এবং উত্তরাধিকারীদের সুদক্ষ পরিচালনা, গ্রস রিফাইনিং মার্জিনের বৃদ্ধি, সুসংহত রিটেল বিজনেসের বাড়বাড়ন্তই ২০২৩ অর্থবর্ষের প্রথম কোয়ার্টারে এ হেন লক্ষ্মীলাভের সহায়ক হয়েছে।
জানা গিয়েছে, তেল এবং টেলিকম সেক্টর থেকে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় রেভেনিউ এসেছে ১.৪৪ লক্ষ কোটি টাকা এবং কর বাদ দিয়ে মুনাফার পরিমাণ ১৩ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: কোটি কোটি কৃষকদের জন্য বাম্পার খবর! পিএম কিষাণের ১২তম কিস্তির টাকা পাচ্ছেন
প্রসঙ্গত, ২০২২ অর্থবর্ষের চতুর্থ কোয়ার্টারে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কনসলিডেটেড নেট প্রফিট ছিল ১৬ হাজার ২০৩ কোটি টাকা। এছাড়া পূর্ববর্তী বছরের নিরিখে হিসেব করলে বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ২২.৫ শতাংশ।