কয়েক বছর ধরে মিউচুয়াল ফান্ডের এসআইপি ব্যাপক জনপ্রিয়। ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে এসআইপি-র মাধ্যমে মোট ১৩,০৪১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়, যা ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
আরও পড়ুনঃ এসি বন্ধ করার পরেও চড়চড়িয়ে বিল বাড়ছে? ১ সেকেন্ডের ‘এই’ কাজ! বিল হবে অর্ধেক
রেকারিং ডিপোজিট বনাম মিউচুয়াল ফান্ড: রেকারিং ডিপোজিট হল ঋণ উপকরণ। বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগকৃত অর্থের জন্যে মূলধন গ্যারান্টি দেওয়া হয়। এসআইপিগুলি বিনিয়োগের একটি অনুরূপ উপায় কিন্তু মিউচুয়াল ফান্ডের এক্সপোজার সহ। বিনিয়োগকারীরা একলপ্তে মোটা টাকা বিনিয়োগের পরিবর্তে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে কিস্তিতে বিনিয়োগ করেন।
advertisement
পার্থক্য:
ক) রেকারিং ডিপোজিটে নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া যায়। মিউচুয়াল ফান্ডের এসআইপি-র রিটার্ন নির্ভর করে বিনিয়োগকারীরা কতটা ঝুঁকি নিচ্ছে তার উপরে।
আরও পড়ুনঃ তাপে পুড়ে ছারখার বাংলা, আচমকা আবহাওয়ার বিরাট পরিবর্তন, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি
খ) রেকারিং ডিপোজিট বাজারের সঙ্গে যুক্ত নয়। ফলে ঝুঁকি নেই। সম্পূর্ণ নিরাপদ। নিশ্চিত রিটার্ন। এসআইপি-র রিটার্ন পরিবর্তনশীল। যেমন কেউ ইক্যুইটি ফান্ড বেছে নেন তাহলে স্টক মার্কেটের উপর নির্ভর করে যেমন লাভ হতে পারে তেমনই পুরো টাকা জলেও যেতে পারে। এএমএফআই ডেটা অনুসারে, দীর্ঘ মেয়াদে এসআইপিতে বিনিয়োগ করলে সাধারণত ভাল রিটার্ন পাওয়া যায়।
গ) রেকারিং ডিপোজিটে সুদের হার আগেই ঠিক করা হয়। বিনিয়োগকারী জানেন মেয়াদ শেষে তিনি কত টাকা রিটার্ন পাবেন। অন্য দিকে, এসআইপি-র রিটার্ন বাজারের সঙ্গে যুক্ত। বাজার উঠলে ভাল রিটার্ন আর পড়লে উল্টোটা।
ঘ) রেকারিং ডিপোজিটে অকাল প্রত্যাহার বা আগেই বন্ধ করে দিলে জরিমানা দিতে হয়। এসআইপি যে কোনও সময় বন্ধ করা যেতে পারে। কোনও জরিমানা ছাড়াই টাকা তুলে নেওয়া যায়।
আরডি না কি এসআইপি, কোনটা ভাল: রেকারিং ডিপোজিটে ৫.৮ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়। মিউচুয়াল ফান্ডের এসআইপি-তে গড়ে ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন মিলতে পারে। বাজার চাঙ্গা থাকলে এই হার ১৫ থেকে ১৮ শতাংশেও পৌঁছে যায়। দীর্ঘমেয়াদি স্কিমে আরও বেশি সুবিধা কারণ চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ পাওয়া যায়।