বিনিয়োগকারীরা যে পরিমাণ সোনায় বিনিয়োগ করেন, তা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকে। মেয়াদ শেষে বা অকাল প্রত্যাহারে বাজারের দাম অনুযায়ী রিটার্ন পাওয়া যায়। তিন বছর আগে যে বিনিয়োগকারীরা সভেরিন গোল্ড বন্ড কিনেছিলেন তাঁরা প্রায় ৪৫ শতাংশ লাভ করেছেন। পাঁচ বছর আগে যে সব বিনিয়োগকারীরা টাকা ঢেলেছেন তাঁরা লাভ পেয়েছেন ৮৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এখনই সাবধান হন QR কোড স্ক্যাম থেকে, না হলে চুরি হতে পারে টাকা, দেখে নিন কী করতে হবে!
advertisement
অফার: সাবস্ক্রিপশন সময়কালের আগের সপ্তাহের শেষ তিন কার্যদিবসের ৯৯৯ বিশুদ্ধতার সোনার জন্য ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন লিমিটেড দ্বারা প্রকাশিত সাধারণ গড় সমাপনী মূল্যের উপর ভিত্তি করে বন্ডের নামমাত্র মূল্য - ১৪, ১৫ এবং ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ - প্রতি গ্রাম সোনার দাম ৫,৪০৯ টাকা। অনলাইনে আবেদনকারীরা নামমাত্র মূল্যের চেয়ে প্রতি গ্রামে ৫০ টাকা ছাড় পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিনিয়োগ শুরু করুন নতুনভাবে, এক নজরে দেখে নিন কয়েকটি সেরা পেনি স্টক!
রিটার্ন: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া শুক্রবার জানিয়েছে, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রতি গ্রাম ২,৮৯০ টাকায় ইস্যু করা গোল্ড বন্ড, সিরিজ XII, ১৭ ডিসেম্বর প্রতি গ্রাম ৫,৪০৯ টাকায় রিডিম করা হবে। অর্থাৎ প্রায় ৮৯.১৬ শতাংশ লাভ।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ২০২১ সালে নভেম্বরে প্রতি গ্রাম ৪,৭৯১ টাকা হারে গোল্ড বন্ড অফার করেছিল৷ সেটা এখন ৫,৪০৯ টাকায় পৌঁছেছে, অর্থাৎ ১২.৮৯ শতাংশ বৃদ্ধি। আরবিআই প্রদত্ত ২.৫০ শতাংশ সুদের হার সহ এক বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য রিটার্ন হল ১৫.৩৯ শতাংশ৷ যে বিনিয়োগকারীরা ২০১৯ সালের নভেম্বরে গোল্ড বন্ডে টাকা প্রতি গ্রাম ৩,৭৯৫ টাকায় কিনেছিলেন তাঁরা এখন বর্তমান বাজার মূল্যে ৪২.৫২ শতাংশ লাভ পাচ্ছেন। এর সঙ্গে ২.৫০ শতাংশ সুদের হার সহ মোট লাভ ৪৫ শতাংশ।
যদিও ব্যাঙ্কে এক বছরের আমানাতে ৬.৭০ থেকে ৭ শতাংশ হারে সুদ মিলছে। অন্য দিকে, গোল্ড বন্ডে প্রাথমিক বিনিয়োগের পরিমাণের উপর বার্ষিক ২.৫০ শতাংশ (নির্দিষ্ট হার) হারে সুদ দেওয়া হয়। এই সুদ বিনিয়োগকারীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। মেয়াদ শেষে মেলে রিটার্ন। তবে মূল আকর্ষণ হল, মেয়াদ শেষে গোল্ড বন্ডগুলি ভারতীয় রুপিতে রিডিম করা হয় এবং রিডেম্পশন মূল্য পরিশোধের তারিখ থেকে পূর্ববর্তী তিন কার্যদিবসের ৯৯৯ বিশুদ্ধতার সোনার সমাপনী মূল্যের একটি সরল গড়ের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।