এদিকে রেশন কার্ডের e-KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার ডেডলাইন বা মেয়াদ এই নিয়ে ৬ বার বাড়ানো হল সরকারের তরফে। কিন্তু এবারে বলা হয়েছে যে, এই শেষ বার e-KYC প্রক্রিয়ার ডেডলাইন বাড়ানো হল। খাদ্য এবং সরবরাহ মন্ত্রকের তরফে চিঠি লিখে সমস্ত রাজ্যকেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, নতুন ডেডলাইনের মধ্যেই e-KYC-র কাজ সম্পন্ন করে ফেলতে হবে। শুধু তা-ই নয়, আরও বলা হয়েছে, যে কোনও ভাবে আগামী ৩০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখের মধ্যে e-KYC প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতেই হবে। আর e-KYC করানোর জন্য রেশন কার্ড হোল্ডারদের বা সুবিধাভোগীদের পিডিএস শপে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে e-POS মেশিনের সাহায্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: PPF-এর এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম জানা আছে কি? নাহলে কিন্তু বাড়বে বিপদ
KYC কেন প্রয়োজন?
সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও ২৩.৫ শতাংশ রেশন কার্ডের ভেরিফিকেশন বাকি রয়েছে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল যে, KYC-র অর্থ হল Know Your Customer। রেশন কার্ড হোল্ডারদের KYC আপডেট করতে বলা হয়েছে, কারণ তাতে সিস্টেম থেকে ভুয়ো রেশন কার্ড হোল্ডারদের বাদ দিতে সুবিধা হবে। সরকারি শস্যের সুবিধা যাতে শুধুমাত্র যোগ্য মানুষেরাই পান, সেটা নিশ্চিত করাই আসলে সরকারের লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: চিনে চালু হল Gold ATM ! মেশিনে সোনা দিলেই টাকা ট্রান্সফার হবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে
বাড়ি থেকেও e-KYC করা সম্ভব? কিন্তু কীভাবে?
পিডিএস শপে না গিয়ে যাঁরা e-KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছেন, তাঁরা বাড়িতে বসেও সেটা করে নিতে পারেন। এর জন্য কী কী করণীয়, সেটা নীচে দেওয়া হল:
১. e-KYC প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সবার আগে নিজের রাজ্যের পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
২. এরপর সেখানে গিয়ে e-KYC for Ration Card বিকল্পের উপর ক্লিক করতে হবে।
৩. এবার নিজের রেশন কার্ড নম্বর এবং আধার কার্ডের নম্বর দিতে হবে।
৪. এরপর পরিবারের কর্তা বা কর্ত্রীর আধার নম্বর দিতে হবে।
৫. এবার মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি আসবে।
৬. মোবাইল নম্বরে আসা ওটিপি এবং সমস্ত তথ্য পূরণ করে তা সাবমিট করে দিতে হবে।