মার্চ ত্রৈমাসিকে ৩৩৩ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে পিভিআর-আইনক্সের। অবশ্য ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে ১৬.১ কোটি টাকার লাভ হয়েছিল কোম্পানির। কিন্তু তার আগের মার্চ ত্রৈমাসিকে ১০৫ কোটি টাকার লোকসানও হয়।
আরও পড়ুন: বছরে লক্ষাধিক টাকা বাঁচবে, কমবে ট্রাক চালকদের উদ্বেগও, নতুন ডিজেল আনল জিও-বিপি!
এই বছরের শুরুর দিকে ভারতের শীর্ষ দুই মাল্টিপ্লেক্স অপারেটর মিশে যায়। তৈরি হয় নতুন কোম্পানি। কিন্তু সেই কোম্পানিও লাভের মুখ দেখেনি। ১০৫.৮ মিলিয়ন রুপি লোকসান হয়। একাধিক সিনেমা মোটেই ব্যবসা করতে পারেনি। সেই কারণেই আগামী ৬ মাসের মধ্যে ৫০টি স্ক্রিন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিভিআর-আইনক্স।
advertisement
আরও পড়ুন: চ্যাট লক করা, ফলোয়ার কাউন্ট, ১২টি নয়া ফিচার, WhatsApp ব্যবহারকারীদের জন্য চমক!
করোনা অতিমারীর সময় দেশের প্রায় সব সিনেমা হলই বন্ধ ছিল। লাটে উঠেছিল ব্যবসা। লকডাউনের সেই সময়ে সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে স্ট্রিমিং। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি সিঙ্গল স্ক্রিন। শহরের একাধিক সিনেমা হল চিরতরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এবার একই অবস্থা পিভিআর-আইনক্সেরও।
গত বছরের মার্চে পিভিআর লিমিটেড এবং আইনক্স লিজার লিমিটেড মিশে যায়। তৈরি হয় দেশের বৃহত্তম মাল্টিপ্লেক্স চেইন। নাম হয় পিভিআর-আইনক্স লিমিটেড। সারা দেশে এর ১,৫০০-র বেশি স্ক্রিন ছিল। কিন্তু করোনা অতিমারীর কারণে সিনেমা শিল্প যে ক্ষতির মুখে পড়ে, একীভূতকরণ করেও তা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়নি। একীভূত হওয়ার পর উভয় সংস্থার রাজস্ব ১০০০ কোটিতে নেমে আসে। ডিসেম্বরে ‘অবতার: ওয়ে অফ ওয়াটার’ এবং জানুয়ারিতে শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ ভাল ব্যবসা করে। কিন্তু ফেব্রুয়ারি এবং মার্চে আসা হিন্দি ছবিগুলো বক্স অফিসে চমকপ্রদ কিছু করতে পারেনি।
তবে এত কিছুর পরেও গত আর্থিক বছরে, পিভিআর এবং আইনক্স ৩০টি থিয়েটারে ১৬৮টি নতুন স্ক্রিন চালু করেছে। ২০২৪ অর্থবর্ষে কোম্পানি ১৫০ থেকে ১৭৫টি অতিরিক্ত স্ক্রিন খোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। কোম্পানির স্ক্রিন পোর্টফোলিওতে বর্তমানে ১৬৮৯টি স্ক্রিন রয়েছে। ৩৮টি ম্যানেজমেন্ট স্ক্রিন। এর মধ্যে ভারত এবং শ্রীলঙ্কার ১১৫টি শহর অন্তর্ভুক্ত।