জমি জায়গা সংক্রান্ত জ্ঞান কিংবা সচেতনতা সকলের নেই, আর সেই কারণেই জমি কিনতে গিয়ে প্রথমেই কি করতে হবে তা জানতে বাঁকুড়া জেলা আদালতের স্মরনাপন্ন হতে হল। বাঁকুড়া কোর্টের উকিল অতনু দে জানান, জমি কিনতে গেলেই প্রথমেই পরখ করে দেখে নিতে হবে জমির “চেইনডিড” এর প্রথম থেকে শেষ রেকর্ড। যদি পৈতৃক জমি হয় তাহলে জমির পর্চা দেখে বিচার করে নিতে হবে কতবার হস্তান্তরিত হয়েছে জায়গাটি। এছাড়াও দেখে নিতে হবে আর এস এ, সি এস এ এবং এল আর এ কার নামে রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: SBI FD না কি মিউচুয়াল ফান্ড, কোথায় ৩, ৫, ৭ এবং ১০ বছরে বেশি রিটার্ন আসতে পারে?
এবার আসা যাক দলিলে। বাজারে নকল দলিলের গল্প আমরা প্রায়শই শুনেছি। সেই কারণেই আপনার পায়ের ঘাম মাথায় ফেলে উপার্জন করা অর্থ দিয়ে কেনা শখের জায়গার দলিল যাতে নকল না হয় তার জন্য কি করতে হবে জেনে নিন। নির্দিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দলিল আসল কি নকল তা সার্চ করতে হবে।
ন্যূনতম ১২ বছরের রেকর্ড সার্চিং হওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও দলিল পরখ করে দেখলেই জানা যাবে আরও আনুষাঙ্গিক বিষয়বস্তুগুলি যেমন, জমিটি কতবার হস্তান্তরিত হয়েছে এবং কার কাছে হস্তান্তরিত হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, দলিল আসল হলেও আইনিভাবে কোনও জটিলতা আছে কি’না সেটা বুঝতে এবার নির্দিষ্ট আদালতে গিয়ে চেকিং করতে হবে।
আরও পড়ুন: মাত্র ৩০ ঘণ্টায় LIC থেকে প্রতি মাসে ৮৪,০০০ টাকা আয় করা সম্ভব; করতে হবে এই কাজ
এতকিছু করার পরও আপনাকে যেতে হবে বিএলআরও অফিস। বি এল আর ও অফিসে গিয়ে আবারও পরীক্ষা করা হবে জমির “ইন ডিটেইল” রেকর্ড। পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে জমির মালিক পৈত্রিক সূত্রে জমি পেয়েছেন না কিনেছেন এবং যদি তিনি এই জমি কিনে থাকেন তাহলে জমির আগের মালিক কি ছিল অথবা কি রেকর্ড ছিল এই জমির।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী