TRENDING:

PPF Vs EPF: পিপিএফ না ইপিএফ, কোনটা বেশি লাভজনক? জেনে নিন দু’টির মিল এবং পার্থক্য কোথায়

Last Updated:

দু’য়ের মধ্যেও সেরাটি বেছে নিতে গেলে ভাল ভাবে জানা দরকার দু’টি প্রকল্প সম্পর্কে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
উপার্জনের একটা অংশ সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের জন্য তুলে রাখাই ভাল। সেক্ষেত্রে পিএফ বা PPF সব থেকে ভাল পথ। কিন্তু এই দু’য়ের মধ্যেও সেরাটি বেছে নিতে গেলে ভাল ভাবে জানা দরকার দু’টি প্রকল্প সম্পর্কে।
advertisement

EPF বা এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড—

কোনও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের বেতন থেকে একটি অংশ বাধ্যতামূলক ভাবে কেটে জমা রাখা হয় এই EPF-এ। কর্মচারী এবং নিয়োগকর্তা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ এখানে জমা করেন। EPF-এর মূল উদ্দেশ্য হল কর্মচারীদের অবসর জীবনের জন্য অর্থ সঞ্চয় করতে সাহায্য করা। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যান্ড মিসলেনিয়াস অ্যাক্ট, ১৯৫২ অনুযায়ী এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) এই তহবিল পরিচালনা করে।

advertisement

আরও পড়ুন: এখনও আয়কর রিফান্ড পাননি? এই ভুলগুলো করেছেন কি না দেখে নিন

এখানে আকর্ষণীয় হারে রিটার্ন দেওয়া হয়, যা ব্যাঙ্কে প্রদত্ত হারের চেয়ে অনেক বেশি। ন্যূনতম অবদানের চেয়ে বেশি অর্থও কোনও কর্মচারী জমা করতে পারেন। তখন তাকে ভলান্টারি প্রভিডেন্ট ফান্ড বলা হয়। ১৯৬১ সালের আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় এতে ছাড় পাওয়া যায়।

advertisement

PPF বা পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড—

এটি ভারত সরকারের একটি জনপ্রিয় সঞ্চয় প্রকল্প। আয়কর আইনের ৮০সি ধারায় সবচেয়ে জনপ্রিয় কর-সঞ্চয়কারী বিনিয়োগ প্রকল্পগুলির একটি। যেকোনও ক্ষেত্রে কর্মরত ব্যক্তিদের সাহায্য করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। PPF অ্যাকাউন্ট সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের চেয়ে বেশি রিটার্ন দেয়।

তবে PPF অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ করলে ১৫ বছরের জন্য ওই টাকা আটকে থাকবে। কোনও নাগরিক সর্বোচ্চ বার্ষিক দেড় লক্ষ টাকা বা মাসিক ১২,৫০০ টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। বার্ষিক ন্যূনতম ৫০০ টাকার বিনিয়োগ করতেই হবে। এই ক্ষেত্রে করদাতারা বছরে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন।

advertisement

লিক্যুইডির ক্ষেত্রে এই দুই ক্ষেত্রে কিছু পার্থক্য রয়েছে। যেমন EPF-এ টাকা রাখলে এবং এক মাস কর্মহীন থাকলে ৭৫ শতাংশ টাকা তুলে ফেলতে পারে। দু’মাস কর্মহীন থাকলে সম্পূর্ণ টাকা তুলে ফেলা যায়। আবার টাকা রেখে দেওয়াও যেতে পারে কিন্তু তিন মাস পরে সুদ বন্ধ হয়ে যাবে। টাকা তোলার সময় কর দিতে হবে।

advertisement

PPF-এর ক্ষেত্রে ১৫ বছর পর্যন্ত জমানো টাকা তোলা যায় না। সাত বছর পর একটা অংশ তোলা যেতে পারে। তবে তা ব্যাঙ্কের নিয়মের উপর নির্ভর করে।

সুবিধা ও অসুবিধা—

দু’টি ক্ষেত্রেই কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। EPF-এর সুবিধা হল কর্মী চাকরি বদলালে তা বদলে ফেলা যায়। আংশিক টাকা তুলেও ফেলা যায় যখন খুশি। তাছাড়া আলাদা করে টাকা জমা দিতে হয় না। তবে প্রতি মাসে বাধ্যতামূলক ভাবে টাকা জমা দিতে হয়।

অন্য দিকে, PPF-এ বার্ষিক জমা করতে হয়। কিন্তু ১৫ বছর এই টাকায় হাত দেওয়া যায় না। এটা একটা দীর্ঘ সময় বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। তবে PPF-থেকে ঋণ পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। মেয়াদ শেষে দু’টি অ্যাকাউন্ট থেকেই যে পরিমাণ টাকা পাওয়া যাবে তা আয়কর ছাড় পাবে। দু’টি প্রকল্পই সরকারি। ১৯৬১ সালের আয়কর আইন অনুযায়ী ৮০সি ধারায় করছাড় মেলে।

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
PPF Vs EPF: পিপিএফ না ইপিএফ, কোনটা বেশি লাভজনক? জেনে নিন দু’টির মিল এবং পার্থক্য কোথায়
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল