২০১৫ সালের ৯ মে এই প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেছিলেন মোদি। এরপর ৭ বছর কেটে গিয়েছে। দেখে নেওয়া যাক, এই স্কিমগুলো এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে। সাধারণ জনজীবনে তার জনপ্রিয়তা কতটুকু।
আরও পড়ুন-আজও ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়, জেনে নিন আবহাওয়ার আপডেট
প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা: এটা এক বছরের জীবন বিমা পরিকল্পনা যা প্রতি বছর পুনর্নবীকরণ করা হয়। যে কোনও কারণে গ্রাহকের মৃত্যু হলে এই বিমার অধীনে আর্থিক সহায়তা মেলে। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী ব্যক্তি যাঁর ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁরা এই স্কিমে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। এটা একটা প্রিমিয়াম ভিত্তিক প্ল্যান। ৫০ বছর বয়সের আগে এই বিমা করালে ৫৫ বছর বয়স পর্যন্ত এই বিমার কভার পাওয়া যাবে। সোমবার অর্থমন্ত্রক একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘২০২২-এর ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১২.৭৬ কোটির বেশি মানুষ এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন। এখনও পর্যন্ত ৫,৭৬,১২১ দাবির জন্য ১১,৫৫২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে’। এই প্রকল্পে প্রতি বছর ৩৩০ টাকার প্রিমিয়াম দিতে হয়। মৃত্যুর পর ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ মেলে।
advertisement
প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা: এটা এক বছরের দুর্ঘটনা বিমা পরিকল্পনা যা প্রতি বছর পুনর্নবীকরণ করা হয়। দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু অক্ষমতার জন্য এককালীন ক্ষতিপূরণ মেলে। ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়সী ব্যক্তি যাঁর ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁরা এই স্কিমে নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। এই বিমায় দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু বা অক্ষমতার জন্য ২ লাখ এবং আংশিক অক্ষমতার ক্ষেত্রে ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রক একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘২০২২-এর ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ২৮.৩৭ কোটির বেশি মানুষ এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছেন। এখনও পর্যন্ত ৯৭,২২৭ টি দাবির জন্য ১,৯৩০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে’।
আরও পড়ুন-এয়ার কন্ডিশনার নয়, গরমে স্বস্তি দিতে কনেপক্ষ কাজে লাগাল ফসল তোলার থ্রেশার; হতভম্ব বরপক্ষ!
অটল পেনশন যোজনা: সমস্ত ভারতীয়, বিশেষ করে দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য একটি সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য অটল পেনশন যোজনা চালু করা হয়েছিল। এটি অসংগঠিত ক্ষেত্রের লোকেদের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদান এবং ভবিষ্যতের প্রয়োজন মেটানোর জন্য একটি সরকারি উদ্যোগ। অটল পেনশন যোজনা জাতীয় পেনশন সিস্টেমের প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অধীনে পেনশন তহবিল নিয়ন্ত্রক ও উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত। ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁরা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেন। গ্রাহক কত টাকার প্রিমিয়াম দিচ্ছে তার উপর পেনশনের পরিমাণ নির্ভর করে। সেই অনুযায়ী ৬০ বছর বয়সে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা, ২০০০ টাকা, ৩০০০ টাকা, ৪০০০ টাকা কিংবা ৫০০০ টাকা পাওয়া যাবে। অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২২-এর ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ৪ কোটিরও বেশি লোক এই স্কিমে সাবস্ক্রাইব করেছে’।