ঋণ অনুমোদনের তারিখ থেকে সুদ –
অনেক ব্যাঙ্ক তাদের গ্রাহকদের দেওয়া ঋণের উপর অনুমোদনের তারিখ থেকে সুদ আদায় করে। আসলে, ঋণের পরিমাণ মানুষের অ্যাকাউন্টে পৌঁছানোর দিন থেকেই ব্যাঙ্কগুলির সুদ নেওয়া উচিত।
চেক ইস্যু করার তারিখ থেকে সুদ –
চেকের মাধ্যমে দেওয়া ঋণের ক্ষেত্রেও একই রকম ব্যাপার দেখা গিয়েছে। ব্যাঙ্কগুলি চেকের তারিখ থেকেই সুদ নিচ্ছে, যখন চেকগুলি বেশ কয়েক দিন পরে গ্রাহকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়, এক্ষেত্রে চেক হস্তান্তরের তারিখ থেকে সুদ নেওয়া উচিত।
advertisement
শুধু বকেয়া দিনগুলির জন্য নয়, পুরো মাসের জন্য সুদ নেওয়া –
এক মাসের মধ্যে ঋণ বিতরণ বা পরিশোধের ক্ষেত্রে, কিছু ব্যাঙ্ক পুরো মাসের জন্য সুদের হার নির্ধারণ করে। এই ক্ষেত্রে, ব্যাঙ্কগুলির করণীয় হল, তারা শুধুমাত্র মাসের সেই দিনগুলির জন্য সুদ ধার্য করবে যেদিন ঋণ বকেয়া থাকবে, পুরো মাসের জন্য সুদ ধার্য করবে না।
কিছু কিস্তি আগে থেকে নেওয়া এবং পুরো ঋণের উপর সুদ নেওয়া –
কিছু ক্ষেত্রে, এটাও দেখা গিয়েছে যে ব্যাঙ্কগুলি এক বা একাধিক কিস্তি অগ্রিম আদায় করছিল, কিন্তু সম্পূর্ণ ঋণের পরিমাণের উপর সুদ গণনা করছিল। এই সব দেখে, আরবিআই বলেছে যে সুদ আদায়ের এই ধরনের পদ্ধতি, যা গ্রাহকদের ন্যায্যতা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, তা গুরুতর উদ্বেগের কারণ।
পার্সোনাল লোনে এই ৫টি চার্জ আরোপ করা হয় –
পার্সোনাল লোন নেওয়ার সময়, কিছু ফি এবং চার্জ সম্পর্কে জানা সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই চার্জগুলি বোঝা আর্থিক পরিকল্পনাকে সহজ করে তুলতে পারে এবং অপ্রত্যাশিত খরচ এড়াতে সাহায্য করতে পারে। পার্সোনাল লোনে নেওয়ার সময় কিছু সাধারণ ফি এবং চার্জের কথা মনে রাখা উচিত।
১) প্রসেসিং ফি –
ঋণ প্রসেসের সময় ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই ফি ধার্য করে। এটি সাধারণত ঋণের পরিমাণের ১%, যা ৩% পর্যন্ত যেতে পারে এবং কখনও কখনও পরিমাণটি সর্বনিম্ন পরিসরেও হতে পারে।
২) প্রিপেমেন্ট/ফোরক্লোজার ফি –
যদি কেউ ঋণের পরিমাণ আগে অর্থাৎ পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগে পরিশোধ করে, তাহলে কিছু প্রতিষ্ঠান এর জন্য একটি ফি নেয়। এই ফি সাধারণত ঋণের ব্যালেন্সের ২% থেকে ৫% পর্যন্ত হতে পারে। কিছু ব্যাঙ্কে এই চার্জ সম্পূর্ণরূপে প্রযোজ্য নয়। বিশেষ করে যদি কেউ ঋণের কিছু অংশ পরিশোধ করে থাকে।
৩) EMI-তে লেট পেমেন্ট ফি –
কেউ যদি সময়মতো নিজের EMI পরিশোধ না করে, তাহলে ব্যাঙ্ক বা ঋণদাতা লেট ফি নিতে পারে। এই চার্জ ব্যাঙ্ক কর্তৃক নির্ধারিত হয় এবং EMI-এর উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। এই ফি সাধারণত ৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।
৪) চেক বাউন্স ফি –
যদি কেউ চেকের মাধ্যমে ঋণের EMI পরিশোধ করে এবং চেকটি বাউন্স হয়ে যায়, তাহলে ব্যাঙ্ক তার কাছ থেকে বাউন্স ফি নিতে পারে। এই ফি ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এটি ব্যাঙ্কের উপরে নির্ভর করে এবং আরও বেশি চার্জ নেওয়া হতে পারে।
৫) বিমা ফি –
কিছু ব্যাঙ্ক পার্সোনাল লোনের উপর বিমা পলিসি নেওয়ার জন্য একটি ফি নেয়। এর উদ্দেশ্য হল ঋণের পরিমাণ ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা। এই চার্জ ঋণের পরিমাণ এবং বিমা পলিসির উপর নির্ভর করে।