বর্ষার সময় আমন ধানের চাষের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। মাজরা পোকা, শোষক পোকা, খোলাপোঁচা খোলা ধসার মতো বিভিন্ন সমস্যা। এ প্রসঙ্গে কৃষি বিশেষজ্ঞ জানান, মাজরা পোকার সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে ধানের বীজতলা বা চারা তৈরির সময় থেকে গুরুত্ব দিতে হবে। এই সময় কোনওরকম স্প্রে করা যাবে না। দানাদার কাটা ফাইটো ক্লোরাইড ৪জি প্রয়োগ করতে হবে। এরপর বীজতলা থেকে মূল জমিতে চারা রোপনের সময়, ২১ দিনের মাথায় প্রথম চাপান সারের সঙ্গে ক্লোরানটান লিপোল ৪জি বা কাটা ফাইটোক্লোরাইড ৪জি বিঘা প্রতি ১.৩ থেকে ১.৫ কেজি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘কালীক্ষেত্র’ পূর্ব মেদিনীপুরের ৪০০ বছরের পুরনো কালীপুজো, জানুন অবাক করা ইতিহাস
এরপর ৫০ থেকে ৫৫ দিনের মাথায় মাজরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে ৫ এমএল ক্লোর্যান্ট্রানিলিপ্রোল ১৫ লিটার জলে গুলে স্টিকার সহযোগে স্প্রে করতে পারেন। ধান ফলার ঠিক আগে ধান ক্ষেতে সমস্যা দেখা দেয় শোষক পোকার। ফাইমেট্রোজিন ডাইনটিফিউরানের মতো বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার করা যেতে পারে। ভাল ফলন পেতে ইউরিয়া সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে সঠিক মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে। সেই সঙ্গে ধান গাছ রোপনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এক একটি ধান গাছের দূরত্ব এমন ভাবে রাখা হবে যাতে সূর্য লোকের আলো এবং বাতাস পৌঁছতে পারে, প্রত্যেক গাছে তাতে বিভিন্ন প্রকার আক্রমণ কম হবে। বিশেষ করে শোষক পোকার আক্রমণ কম হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ধান চাষের ক্ষেত্রে খোলা পচা এবং খোলা ধ্বসা রোগ দারুণ সমস্যা সৃষ্টি করে। সাধারণত এই রোগ ধান ক্ষেত্রে আলের ধার থেকে আক্রমণ শুরু করে। এক্ষেত্রে ধান গাছের পাতায় গোলাকার চাকা চাকা বোরা সাপের গায়ের ন্যায় ছোপ দেখা যায়। এই সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে, ধান ক্ষেতে উপযুক্ত ছত্রাকনাশক অ্যাজিক্সস্টবিন+ টেবুকোনাজল অথবা অ্যাজিক্সস্টবিন ডাইফেনকনাজল ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও ধানের ঝোলসা রোগ প্রতিকারের ক্ষেত্রে টাইসাক্লাজো ৭৫% ডব্লুইউ পি .৭৫ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করা যেতে পারে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন, হাওড়া কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিষয়বস্তু বিশেষজ্ঞ ডঃ অর্ক সামন্ত