TRENDING:

Women's Day Special: কাগজের ঠোঙ্গা বানানো দিয়ে শুরু, বহু কঠিন পরিস্থিতি পেরিয়ে আজ এই মহিলা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী  

Last Updated:

এমন পরিস্থিতি ছিল , যে মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর টাকাও ছিলনা । তবে বর্তমানে তিনি অনেক খুশি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্ব বর্ধমান: এ যেন এক হার না মানার লড়াই। পূর্ব বর্ধমানের গীতা দাসের গল্প শুনলে অবাক হবেন। গীতা দেবীর বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের কলেজ পাড়ায় । বর্তমানে কাগজের ঠোঙ্গা বানানোর কাজ নিয়ে এগিয়ে চলেছেন মাঝ বয়সী এই মহিলা। এই ঠোঙ্গা বানানোর কাজ তিনি শুরু করেন বিগত ৩৪ বছর আগে।
advertisement

দীর্ঘ এতদিন যাবৎ এই কাজ করছেন গীতা দেবী। অভাব অনটনকে সঙ্গে করে বিবাহিত জীবন শুরু হয় এই মহিলার। তাই সংসারের হাল ধরতে নিজেই শুরু করেন এই ব্যবসা। আর সেই ঠোঙার ব্যবসাকেই বর্তমানে নিজের জীবন বলে দাবিও করছেন তিনি।

আরও পড়ুন: শুধু মহিলারা নয়, এখানে সেলাই শিখছেন এলাকার যুবকরা, কিন্তু কেন ?

advertisement

গীতা দেবীর কথায়, পাড়ার এক কাকিমার কাছ থেকে তিনি এই কাজ শেখেন। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতি কেজিতে চার থেকে আট আনা করে দাম পেতেন তিনি। পরবর্তীতে নিজেই শুরু করেন ঠোঙ্গা বানানো। সাইকেলে করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে সংগ্রহ করতেন কাগজ। সেই কাগজের ঠোঙ্গা বানিয়েই সংসারের হাল ফিরেছে তার। সাইকেলের পরিবর্তে এখন স্কুটিতে করে খবরের কাগজ কিনতে যান ঠোঙ্গা ব্যাবসায়ী গীতা দেবী।

advertisement

View More

আরও পড়ুন: এই স্কিমের জন্য আবেদন করে থাকলে সাবধান! ফোন তুললেই খোয়াতে পারেন টাকা

কাগজের ঠোঙ্গা তৈরির ব্যবসা করে বর্তমানে তাঁর ভাল অবস্থা । তবে আজ থেকে প্রায় ৩৪ বছর আগে যখন তিনি শুরু করেছিলেন তখন পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ আলাদা । এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন , যখন তাঁর বিয়ে হয় তখন তাঁর স্বামীর বেতন ছিল ২০০০ টাকা । বেড়ার ঘরে থাকতে হত । তখন তিনি পাড়ার এক কাকিমার কাছে শিখে ঠোঙ্গা তৈরি শুরু করেন । সেইসময় বহু কটুক্তি শুনতে হয়েছে তাঁকে । তবে সেসব তিনি অগ্রাহ্য করেই এগিয়ে গিয়েছিলেন । তিনি বলেন সেইসময় এমন পরিস্থিতি ছিল , যে মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর টাকাও ছিলনা । তবে বর্তমানে তিনি অনেক খুশি ।

advertisement

গীতা দেবীর জীবনের প্রথম শুরুটা বেড়ার ঘর থেকে হলেও, বর্তমানে মাথার ওপর পাকা ছাদ নির্মাণ করতে পেরেছেন কাটোয়ার গীতা দেবী। বাড়িতে বসিয়েছেন এয়ার কন্ডিশনার যন্ত্র , বাড়িতে রয়েছে ১ টা ছেড়ে দুটো টিভি , তিনি নিজে স্কুটিও কিনেছেন । সব মিলিয়ে তাঁর সংসারে বর্তমানে ভালো রকম উন্নতি হয়েছে । আর যেটা সম্ভব হয়েছে এই ঠোঙার কাজ করেই। গীতা দেবী জানান বর্তমানে এখন এই কাগজের ঠোঙ্গার চাহিদা আরও বেড়েছে। ৩৪ বছর পেরিয়ে গেছে কিন্তু এখনো গীতা দেবী এই ঠোঙার ব্যবসাকরে চলেছেন।

advertisement

নিয়মিত সন্ধ্যে হলেই স্কুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়েন দোকানে দোকানে ঠোঙ্গা দিতে। গীতা দেবীর কথায়,বসে থাকার থেকে পরিশ্রম যদি করা যায় তাহলে জীবনে সাফল্য আসবেই। সমাজের অন্যান্য মহিলাদের উদ্দেশ্যে গীতা দেবী বলেন , কোনও কাজকে ছোট মনে করলে হবেনা । যদি মহিলাদের স্বামী তাঁদের পাশে থাকে তাহলে মহিলারাও অনেক কিছু করতে পারে । কোনও কাজে ভয় পেলে চলবে না , এগিয়ে যেতে হবে । চরিত্র ঠিক রেখে সৎ পথে কাজ করলে সাফল্য আসবেই।

পূর্ব বর্ধমানের পরিশ্রমী মহিলা গীতা দাস। মহিলা হয়েও যে সবকিছুর সঙ্গে লড়াই করা যায় তাঁর জলজ্যান্ত উদাহরণ হলেন এই মহিলা । প্রথম থেকে কষ্ট করে, লড়াই করে আজ তিনি সাফল্য অর্জন করেছেন । পুরানো দিনের কথা মনে পড়ে গীতা দেবীর চোখ ভিজলেও , অন্যান্য সময় তিনি হাসি খুশি থাকেন । অনেক সময় তিনি দরিদ্র, দুঃস্থ মানুষদেরও সাহায্য করেন । সবমিলিয়ে আজ নিজের চেষ্টায় সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছাতে পেরেছেন পূর্ব বর্ধমানের গীতা দাস ।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
Women's Day Special: কাগজের ঠোঙ্গা বানানো দিয়ে শুরু, বহু কঠিন পরিস্থিতি পেরিয়ে আজ এই মহিলা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী  
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল