উল্লেখ্য, জিরো আওয়ারে সাধারণত সেই মুহূর্তের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন সাংসদরা। কোশ্চেন আওয়ারে সরকারপক্ষকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করার সুযোগ পান বিরোধীরা। আগেভাগে নোটিশ দিয়েই এই দুই পর্বে সরকার পক্ষের কাছে তাঁদের আপত্তির বিষয়গুলি তোলে বিরোধী রাজনৈতিকদলগুলি। কিন্তু বাজেট অধিবেশনের প্রথম দু'দিন সেই পর্ব না থাকায় ক্ষুব্ধ বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রশ্নের মুখোমুখি হতে ভয় পায় মোদি সরকার। তাই কৌশলে বিরোধীদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।
advertisement
তবে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বুধবার থেকে ফের জিরো আওয়ার ও কোশ্চেন আওয়ার শুরু হবে। নিজেদের প্রশ্নও করতে পারবেন বিরোধী সাংসদরা। তবে নিয়ম মোতাবেক আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে লিখিত নোটিস দিতে হবে। এজন্য অনলাইনে ই-পোর্টালের মাধ্যমে অথবা সংসদীয় নোটিস অফিসে নিজেদের প্রশ্ন জমা দিতে পারবেন সাংসদরা।
সংসদীয় নিয়ম এবং কার্যপদ্ধতি অনুযায়ী, জিরো আওয়ার এবং প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য ১ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। লোকসভায় সাধারণত ১১টার পর শুরু হয় জিরো আওয়ার। তার পর চলে প্রশ্নোত্তর পর্ব। রাজ্যসভাতেও সকাল ১১টা থেকে শুরু হয় জিরো আওয়ার। মধ্যাহ্নভোজের পর হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।
আরও পড়ুন: আসন্ন বাজেট ২০২২-২৩-এ জোর দেওয়া হতে পারে নতুন এনার্জির ওপরে, জেনে নিন এক ঝলকে!
এদিন বাজেট অধিবেশনে রাজ্যসভার সাংসদদের জন্য আদর্শ আচরণবিধিও জারি করেছেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু (M. Venkaiah Naidu)। সেখানে সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা আদর্শ আচরণবিধিকে মান্যতা দিতেও বলা হয়েছে। জানানো হয়েছে, দেশের সংবিধান, আইন ও সংসদীয় মর্যাদাকে সবার উপরে মান্যতা দিতে হবে। এমন কিছু করা যাবে না যা সংসদের কাজকে ব্যাহত করে। পাশাপাশি সংসদের ভিতরের কোনও বিষয়ের ভোটাভুটির সময় যেন কোনও সাংসদ কোনও ধরনের প্রাপ্তির আশা না করেন, কোনও রকম অর্থ বা পারিশ্রমিক বা উপহার গ্রহণ না করেন, এই বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেটে কৃষকদের জন্য হতে পারে বড় ঘোষণা!
প্রসঙ্গত, ৩১ জানুয়ারি সংসদে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ram Nath Kovind) ভাষণের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে কেন্দ্রের বাজেট অধিবেশন। প্রথম দফার অধিবেশন চলবে ৩১ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি অবধি। অন্য দিকে, দ্বিতীয় দফার বাজেট অধিবেশন শুরু হবে ১৪ মার্চ থেকে ৮ এপ্রিল অবধি। ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করা হবে। প্রথম দফায় বাজেট পেশ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়। দ্বিতীয় দফায় অর্থ সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ, আলোচনা ও পাশ করানো হয়।