ছেলেমেয়ের বিয়ে দিতে হবে। সেই জন্য তার ছোটবেলা থেকেই অল্প অল্প করে সোনা কেনা উচিত বলেই ভাবেন বাবা-মায়েরা। কারণ পরে দাম আরও বাড়বে। আবার কিছু ক্ষেত্রে বাড়ির কারও বিয়েতে সম্মান বজায় রাখতে সোনার গয়না কিনে দেন অনেকে। তা পকেটে যতই চাপ পড়ুক না কেন! তাই খাঁটি সোনাই প্রথম পছন্দের। তবে এর দু'টি ফর্ম রয়েছে। প্রথমত সোনার কয়েন, দ্বিতীয়ত সোনার বার।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন গ্যাস সিলিন্ডার, দেখে নিন কী করতে হবে ....
সোনার বার: দেখতে আয়তাকার। অজনে ০.৫ গ্রাম থেকে শুরু করে ৫ গ্রাম, ১০ গ্রাম এমনকী ১ কেজি পর্যন্ত হয়। সোনায় বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করতে চাইলে সোনার বারই আদর্শ, বলেন বিশেষজ্ঞরা। তাছাড়া এটাকেই সোনার সবচেয়ে বিশুদ্ধ ফর্ম হিসেবে ধরা হয়। সোনার বার যেহেতু বড় টুকরো তাই এগুলিকে সহজে গলিয়ে ফেলা বা নতুন আকার দেওয়াও কঠিন। সোনার প্রিমিয়াম সবসময়ই বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবে দামও বাড়ছে। তবে সোনার বারের মূল্য নির্ধারণ বাজারের উপর নির্ভর করে।
আরও পড়ুন: এই দিন আসতে চলেছে যোজনার আগামী কিস্তির টাকা, জেনে নিন কোন তারিখে...
সোনার কয়েন: বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিনিয়োগের জন্য সোনার বারের থেকে কিছুটা পিছিয়ে সোনার কয়েন।০.৫ গ্রাম থেকে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত বিভিন্ন মূল্যের সোনার কয়েন পাওয়া যায়। কেনাবেচাও করা যায় সহজে। এর আরও একটি সুবিধা হল, গ্রাহক যদি ৫০ গ্রামের সোনার কয়েন কিনতে না পারেন তবে তাঁদের জন্য ১ থেকে ২.৫ গ্রামের সোনার কয়েনও আছে।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ছাড়া মাত্র ২ মিনিটে জেনে নিন আপনার PF ব্যালেন্স!
পাকা সোনা কেনা যায় মূলত ব্যাঙ্ক বা ট্রেডিং সংস্থা ও কিছু কিছু সোনা বিপণি থেকে। বেশি অঙ্কের গয়না বা বিস্কুট, কয়েন কিনতে টাকা দিতে হয় কার্ডে, নেট ব্যাঙ্কিংয়ে অথবা চেকে। তাই কত টাকার সোনা কেনা হবে, তা আগে থেকে আন্দাজ করে সেই মতো টাকা পয়সার ব্যবস্থা করতে হবে। সোনা কেনার তিন বছরের মধ্যে সেটি বিক্রি করে মুনাফা হলে স্বল্পমেয়াদি মূলধনী লাভকর দিতে হয়। তিন বছরের বেশি সময়ে সোনা ধরে রেখে বিক্রির পরে লাভ হলে লাগে দীর্ঘমেয়াদি মূলধনী লাভকর।