হোমমেড কার্ড কি সত্যিই লাভজনক: হ্যাঁ, লাভজনক। কিন্তু শুরুর দিকে খরচ কমাতে হবে। মূল লক্ষ্য হবে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যাওয়া। তাঁদের কাজ দেখানো। একবার ক্রেতাদের মন জিতে নিতে পারলে ব্যবসা গড়গড়িয়ে চলবে। তখন খরচ বাড়ানো যায়। দাম নিয়ে করা যায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
আরও পড়ুন: তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার চাকরি ছেড়ে শুরু করেন পোহা বিক্রি! মাসে আয় ৬০ লক্ষ টাকা
advertisement
কোন বিষয়ে জোর দিতে হবে: শৈল্পিক মনন এক জিনিস। বাজার ধরা অন্যরকম। মাথায় রাখতে হবে, হোমমেড কার্ডের বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতা। তাই যেটা স্পেশ্যাল, সেটাকে শো-কেস করতে হবে। এমন কোনও পেইন্টিং বা কোলাজ দক্ষতা আছে যা কার্ডের আকর্ষণকে এক ধাক্কায় বাড়িয়ে দিতে পারে? উত্তর হ্যাঁ হলে সেই দক্ষতাকেই পুঁজি করতে হবে।
বেশি ব্যয় নয়: খুচরো খরচ বেশি করলে চলবে না। ইনভেন্টরি স্থাপনের জন্য যা প্রয়োজন সেগুলো তো কিনতেই হবে, কিন্তু স্টক করলে চলবে না। আগে লাভ আসুক, তার পর বাকিটা হবে। কার্ডের সঙ্গে আনুষঙ্গিক জিনিসও বিক্রি করা যায়। খাম, পেনসিল, তুলি বা রঙ।
আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে দিন, উপার্জনও করুন, দেখে নিন গোলাপ চাষের সাতসতেরো!
ক্রাফট সরঞ্জাম: নতুন কেনা মানেই খরচ। শুরুতে সেটা না করাই ভাল। কাগজ কাটার কাঁচি, আঠা, রঙ থাকলে সেগুলো দিয়েই শুরু করা যায়। আর যদি নিতান্তই নতুন কিনতে হয় তাহলে পুরনোটা বিক্রি করে দেওয়াই ভাল। দোকানে নতুন জিনিস রাখতেই হবে তার কোনও মানে নেই। এতে অনেক টাকা বেঁচে যাবে।
প্যাকেজিং: প্যাকেজিং ভাল। কিন্তু প্রতিটা কার্ডের জন্যেই আলাদা প্যাকেজিং না করলেও চলে। বরং কোন কার্ডে প্যাকেজিং দরকার সেটা দামের উপর ছেড়ে দেওয়াই ভাল। দাম বেশি নিলে ভাল প্যাকেজিং করতেই হবে। এখানে কনটেন্ট কিন্তু কার্ড। তাই কার্ডের উপরেই বেশি ফোকাস করা উচিত।
শুধু দোকান নয়, বিক্রি হবে অনলাইনেও: দোকান থেকে তো বিক্রি হবেই। পাশাপাশি ঝাঁপাতে হবে অনলাইনে। এখন ওটাই সবচেয়ে বড় বাজার। অ্যামাজন, ফ্লিপকার্টের মতো ই-কমার্স সাইট রয়েছে। সেখানে কার্ড শো-কেস করতে হবে। একবার ক্রেতার মনে ধরলে আর পিছন ফিরে তাকাতে হবে না।