এই তালিকায় ছিল আইনক্স গ্রিন নামের আরও একটি কোম্পানি। তবে শেষ মুহূর্তে আইপিওর জন্য দায়ের করা প্রাথমিক নথিপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছে তারা। এখন জেনে নেওয়া যাক বাকি ৯টি কোম্পানির আইপিও সংক্রান্ত মূল বিষয়গুলি।
ডেলহিভারি: এটা একটা লজিস্টিক কোম্পানি। আইপিও-র মাধ্যমে ৫,২৩৫ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তারা। ১১ মে বাজারে আসছে দিল্লিভেরি-র আইপিও। সাবস্ক্রিবশনের জন্য খোলা থাকবে ১৩ মে পর্যন্ত। তবে, আগে কোম্পানির ইস্যু আকার ছিল ৭,৪৬০ কোটি টাকা, যা পরে হ্রাস করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪,০০০ কোটি টাকার নতুন ইস্যু রয়েছে। আইপিও থেকে প্রাপ্ত আয় কোম্পানির উন্নয়নে ব্যবহার করা হবে।
advertisement
ফ্যাব ইন্ডিয়া: ভারতের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী পোশাক কোম্পানি ফ্যাব ইন্ডিয়া। জানুয়ায়রিতে সেবি-র কাছে আইপিও-র জন্য নথিপত্র জমা দিয়েছিল। ২.৫ কোটি ইকুইটি শেয়ার বিক্রি করবে তারা। এর মাধ্যমে ১০০ কোটি সংগ্রহ করতে চায় ফ্যাব ইন্ডিয়া।
ক্যাপিলারি টেকনোলজিস: এটা আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স ভিত্তিক ক্লাউড নেটিভ সফটওয়্যার সলিউশন কোম্পানি। আইপিও-র মাধ্যমে ৮৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করাই এদের লক্ষ্য। বিক্রির জন্য ২০০ কোটি টাকার নতুন ইস্যু জারি করা হবে।
আরও পড়ুন: এলআইসি-র আইপিওকে সাদরে বরণ করলেন অ্যাঙ্কর বিনিয়োগকারীরা, প্রথম দিনেই সব ইস্যু বিক্রি!
হর্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং: চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আইপিও-র জন্য আবেদন করেছিল হর্ষ ইঞ্জিনিয়ারিং। ৭৫৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তারা। এতে ৪৫৫ কোটি টাকার নতুন ইস্যু রয়েছে। কোম্পানিটি ঋণ পরিশোধ, মেশিন কেনা এবং অবকাঠামো উন্নত করতে এই পরিমাণ ব্যবহার করবে।
সিরমা এসজিএস টেকনোলজি: এটি একটি প্রযুক্তি ভিত্তিক ডিজাইন কোম্পানি। গত বছরের ডিসেম্বরে এরা আইপিওর জন্য আবেদন করেছিল। কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে ১০০০ থেকে ১২০০ কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে৷ এর মধ্যে ৯২৬ কোটি টাকার নতুন ইস্যু জারি করা হবে।
আথার ইন্ডাস্ট্রিজ: গত বছরের ডিসেম্বরেই আইপিওর জন্য আবেদন করে আথার ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানি এর মাধ্যমে ৭৫৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করেছে। এই টাকা কোম্পানি ঋণ পরিশোধ, প্রস্তাবিত গ্রিনফিল্ড প্রকল্প এবং কার্যকরী মূলধনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে ব্যবহার করবে।
এশিয়ানেট স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন: এটি একটি ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানি। গত বছরের ডিসেম্বরেই আইপিওর নথি জমা দিয়েছিল সংস্থাটি। কোম্পানিটি এর মাধ্যমে ৭৬৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করেছে। এর প্রবর্তক হ্যাথওয়ে ইনভেস্টমেন্টস অফারের জন্য ৪৬৫ কোটি টাকার শেয়ার ইস্যু করবে। এই অর্থ ঋণ পরিশোধ এবং নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে ব্যবহার করা হবে।
ইনফিনিয়ন বায়োফার্মা: গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেবি-র কাছে প্রাথমিক নথিপত্র জমা দিয়েছিল। এটি ৪৫ লাখ নতুন শেয়ার ইস্যু করবে। প্রাপ্ত টাকা মবিয়াস বায়োকেমিক্যালসে বিনিয়োগ এবং মহিলাদের স্কিন কেয়ার ও স্বাস্থ্য পণ্য তৈরির লাইসেন্স পেতে খরচ করা হবে।
সনাতন টেক্সটাইল: কোম্পানিটি জানুয়ারিতে আইপিওর জন্য আবেদন করেছিল। এর মাধ্যমে তারা ১০০০-১২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চাইছে। এতে ৫০০ কোটি টাকার নতুন ইস্যু জারি করা হবে।