১ এপ্রিল ২০২২ থেকেই কার্যকর: এ জন্য আয়কর আইনে সংশোধনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নতুন নিয়মটি ১ এপ্রিল থেকে অর্থাৎ নতুন অর্থবর্ষের শুরু থেকেই লাগু হবে। নিয়ম পরিবর্তনের পর লেনদেনে স্ট্যাম্প ডিউটি ৫০ লাখ বা তার বেশি হলে এমনকী লেনদেনের মূল্য ৫০ লাখের কম হলেও ১ শতাংশ হারে টিডিএস দিতে হবে।
advertisement
উল্লেখ্য, বর্তমানে ৫০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের অকৃষি সম্পত্তির লেনদেনে ১ শতাংশ টিডিএসের নিয়ম রয়েছে। এর জন্য সম্পত্তির মূল্যকে ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই টিডিএস নিয়ম শুধুমাত্র ৫০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
কেন এই নতুন নিয়ম? কেন্দ্র বলছে, সম্পত্তি বেচাকেনায় কর ফাঁকি ঠেকাতেই এই নতুন নিয়ম আনা হয়েছে। যে ব্যক্তি সম্পত্তি কিনছেন তাঁকে এই কর দিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কর ফাঁকি রুখতে এই নয়া পরিবর্তন কাজে আসবে। এই বিভাগে আবাসিক সম্পত্তি, বাণিজ্যিক সম্পত্তির পাশাপাশি জমিও রয়েছে। তবে কৃষি জমি ক্রয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত লেনদেনগুলি এই আইনের আওতায় আসবে না। এই নিয়ম বদল করে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইল সরকার। প্রথমত, রাজস্ব বাড়ানো। দ্বিতীয়ত, কর সংগ্রহের মাধ্যমে সম্পত্তি কেনাবেচার ঘটনাটি সরাসরি কেন্দ্রের নজরদারিতে নিয়ে আসা।
তবে বিরোধীদের একাংশ বলছে, সম্পত্তি কেনাবেচা ও তাতে স্ট্যাম্প ডিউটি সংগ্রহের কাজটি রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। টিডিএস না দিলে সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনও হবে না। ফলে সম্পত্তি কেনাবেচার সময় রাজ্য যে রাজস্ব সংগ্রহ করবে, সেই প্রক্রিয়াটিও এর ফলে দীর্ঘায়িত হয়ে যাবে। এতে আমজনতার হেনস্থা তো বাড়বেই, রাজস্ব সংগ্রহের প্রক্রিয়াটিও প্রতিটি ক্ষেত্রে দেরি হয়ে যাবে। তবে এই যুক্তি উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
এই প্রসঙ্গে মুম্বইয়ের ট্যাক্স এবং বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ বলবন্ত জৈন বলেছেন, ‘স্থাবর সম্পত্তি বিক্রিতে টিডিএস নিয়মের এই পরিবর্তন কর ফাঁকি রুখতে সাহায্য করবে। কারণ ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়কেই ২৬এএস ফর্ম জমা দিতে হবে। যদি তাতে কোনও গরমিল থাকে তাহলে আয়কর দফতর আসল দোষীকে খুঁজে বের করবে’।