এমনকি চিকিৎসকেরাও এই পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।বর্তমানে অনেকেই বিভিন্ন প্রজাতির মাশরুম চাষ করছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন ভাবে দুধিয়া প্রজাতির মাশরুম চাষ শুরু হয়নি এই বাংলায়। মালদহের মাশরুম চাষি সোনাই হালদার সফল ভাবে এই দুধিয়া প্রজাতির মাশরুম সফল ভাবে চাষ করছেন। ইতিমধ্যে ফলন পেতে শুরু করেছেন। সোনাই হালদার বলেন, দুধিয়া প্রজাতির মাশরুমের ফলন কম হয়। তবে পুষ্টিগুণ বেশি তাই দাম বেশি। এই মাশরুম চাষের পদ্ধতি একটু অন্যরকম।
advertisement
আরও পড়ুন: এই মরশুমে করুন গোলাপ চাষ! মুঠো মুঠো টাকা ঢুকবে ঘরে
সাধারণ এই দুধিয়া মাশরুম চাষের পদ্ধতি একটু অন্যরকম। নারকেলের খোসার গুঁড়ো, পুরনো গোবর সারের উপর এই মাশরুম হয়। খড়ের সিলিন্ডার তৈরির পর উপরের অনেকটাই গোবরসার ও নারকেলের খোসার গুঁড়ো দেওয়া হয়। অনান্য প্রজাতির মাশরুম সিলিন্ডারের পাশে বের হয়।
কিন্তু দুধিয়া প্রজাতির মাশরুম সিলিন্ডারের উপরে বের হয়। এই মাশরুম আকারেও অনেক ছোট হয়। তবে দেখতে দুধের মত ধবধবে সাদা। তাই এই মাশরুমের নাম দুধিয়া। এই মাশরুমের ফলন তুলনায় কম। তবে বাজারে এই মাশরুমের দাম বেশি। অন্যান্য মাসুদের থেকে এই মাশরুমের পুষ্টিগুণ বেশি রয়েছে। তাই বাজারে এর চাহিদা যেমন বেশি পাশাপাশি দামও প্রচুর।
আরও পড়ুন: প্রতিবছর লাভ হবে হাজার হাজার টাকা! চিনে নিন এই লটকন ফল
মালদহ জেলা উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, দুধিয়া প্রজাতির মাশরুম সাধারণ এই সময় চাষ হয়। মালদহে কয়েকজন শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত ভাল ফলন হচ্ছে।
ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হয় এই মাশরুম চাষ। জুলাই আগস্ট পর্যন্ত ফলন দেয়। গরমের সময় এই মাশরুম চাষের আদর্শ সময়। ফলন কম হলেও পুষ্টিগুণ বেশি থাকাই এই মাশরুম চাষ করে অনেকেই সফল হতে পারবেন।
হরষিত সিংহ