আরও পড়ুন: চালু সৌর বিদ্যুৎ চালিত পানীয় জলের মেশিন, বালুরঘাট’কে ‘উপহার’ সুকান্তের
দেশে ভেষজ সাবানের চাহিদা ক্রমশাই বাড়ছে। অ্যারোমাথেরাপি সম্পর্কিত সুগন্ধি সাবানের চাহিদাও কম কিছু নয়। সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই ভেষজ সাবান তৈরির পরিকল্পনা করেন কালিম্পঙের বাসিন্দা নবীন বরাইলির। তিনি বলেন, দিদি বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তিনি পাহাড়ের তিতোপাতা দিয়ে সাবান তৈরির চেষ্টা অনেকদিন ধরেই করছিলেন। সফল হতেই আসে চমকপ্রদ ফলাফল। এই ভেষজ সাবান কালিম্পঙের হাটে প্রথমবার নিয়ে যেতেই মানুষ লুফে নেয়। সেই শুরু।
advertisement
বর্তমানে বহু মানুষ পাহাড়ে এই ভেষজ সাবান তৈরির ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন। করোনার জেরে অনেকে চাকরিহারা ও বেশ কিছু ব্যবসা বন্ধ হওয়ায় অনেকেই এই সাবান তৈরি করে রোজগারের নতুন পথ খুঁজে নেন। সাবানের ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা যা থেকে মোটা টাকা উপার্জন করা সম্ভব। সাবান এমন একটি পণ্য, যা কিনা প্রতিটি বাড়িতে ব্যবহৃত হয়। ফলে এর চাহিদা থাকে সবসময়। এছাড়াও আরও একটি দারুণ ব্যাপার হল, মাত্র সামান্য কিছু টাকা খরচ করেই এই ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। সাবান তৈরির কারখানা তৈরি করতে খুব বেশি অর্থের প্রযোজন হবে না। এছাড়া, মুদ্রা যোজনার আওতায় এই ব্যবসার জন্য লোনও নেওয়া যেতে পারে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
প্রথমে মাত্র ৫০ টি সাবান তৈরি করে এই ব্যবসা শুরু করেছিলেন নবীন। এখন তার ৫ গুণ বেশি সাবান তৈরি হয় এবং বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করেন। বর্তমানে অবশ্য তিতোপাতা সাবান ছাড়াও ভিন্ন হয়ে ওয়েল, অ্যারোমেটিক সাবান, চারকোল, স্ট্রবেরি, গোলাপ ফুলের সুগন্ধি যুক্ত সাবান তৈরি করছেন। বর্তমানে এই সাবান প্রস্তুতকারক সংস্থা ঘরে ঘরে নিজেদের প্রোডাক্ট ডেলিভারি করছে। এগুলি শুধু বিক্রি বৃদ্ধি করেনি, পাশাপাশি ব্যবসায় লাভের মার্জিনও বেড়েছে।
অনির্বাণ রায়