ঠিকই ধরেছেন, কথা হচ্ছে মৌমিতা মিস্ত্রির ‘মোমো চিত্তে’র কথা। উদ্বোধন হল হাওড়া কালী কুন্ডু লেনে এই ব্রান্ডের ১৭তম আউটলেট নিয়ে। পাকুরতলায় কালী মন্দির সংলগ্ন আউটলেটে মৌমিতা নিজে হাতে খদ্দেরদের মোমো পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুনঃ ছোট্ট ছোট্ট ভুলে তোলপাড় দাম্পত্যসুখ, আজই বন্ধ করুন ৫ অভ্যাস, নচেৎ সন্তানসুখ অসম্ভব
লকডাউনে কাজ হারিয়ে একজন মহিলার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। সামান্য কিছু টাকা নিয়ে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী মিলে ব্যবসা শুরু করেছিল। শুরু থেকে বড় হওয়ার স্বপ্ন তো ছিল, সঙ্গে ছিল কঠোর পরিশ্রম। এ বার হাওড়াতেও একাধিক আউটলেট। কঠোর পরিশ্রম এবং খাবারের গুণগত মান যা সফলতার শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। সামান্য ঠেলাগাড়ি থেকে ১৭তম আউটলেট উদ্বোধন হল ‘মোমো চিত্তে’র।
advertisement
লকডাউন জীবনের ভোলবদল করেছিল অজয়নগরের মৌমিতার। লকডাউনকালে গিয়েছিল চাকরি। সংসারের হাল ধরতে মৌমিতা ঠেলাগাড়ি করেই মোমো বিক্রি করতে নামা মৌমিতা। আজ নয় নয় করে ১৭টি ‘মোমো চিত্তের’ আউটলেটের মালিক। বরাবরই রান্নাটা ভালবাসেন মৌমিতা। আর মোমো খেতে ভালবাসেন না এমন মানুষ খুব কমই আছেন। এই দুই হাতিয়ারকে সম্বল করেন নামেন জীবন যুদ্ধে। স্বাদ আর মোমোর রকমভেদ মানুষ মৌমিতার তৈরি মোমো প্রেমে ফেলতে বাধ্য করবে। আর সেভাবে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই আরও কয়েকটি আউটলেটের উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে মৌমিতার। মহিলাদের কর্মসংস্থানেও গড়েছেন নজির। পেয়েছেন স্বামীর একান্ত সাপোর্ট।
আরও পড়ুনঃ মনের মতো রুম-একদম সস্তা, প্রেমিকাকে নিয়ে একেবারে নিরাপদে সময় কাটান! জায়গাটি কোথায় জানেন?
মৌমিতা জানান, প্রথমে তিনি বুঝতে পারেননি এই উদ্যোগ রাতারাতি এভাবে জনপ্রিয়তা পাবে | বর্তমানে তাঁর ১৭ আউটলেটে অনেক ছেলে-মেয়ে কাজ করেন। মৌমিতার কথায়, রান্নাটা যেহেতু করতে ভালবাসতাম। তাই এটাকে নিয়েই এগোতে চেয়েছিলাম। আর মোমোর বিভিন্ন ভ্যারাইটিকে ঘিরে মানুষের ভালবাসা, সাপোর্ট আজ আমাকে এক আলাদা পরিচিতি দিয়েছে।
হাওড়া কালী কুন্ডু লেনের ‘মোমো চিত্তে’ আউটলেটের মালিক পূজা চক্রবর্তী জানান, শূন্য থেকে শুরু করা এক মহিলাকে দেখে নিজের কিছু করার তাগিদেই এই প্রচেষ্টা। মোমোপ্রেমীদের জন্য মোমোর নানা ভ্যারাইটি এখানে মানুষকে বারবার টেনে আনবে বলেও আশাবাদী তিনি।
রাকেশ মাইতি