একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে পিএফআরডিএ বলেছে, “এনপিএস-এর স্কিমগুলি দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয়ের জন্য বিনিয়োগ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্কিম হয়ে উঠছে। পেনশন ফান্ডের স্কিমগুলির বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করা গ্রাহকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, তাই গ্রাহকদের সচেতন করার জন্য এনপিএস-এর বিভিন্ন স্কিমগুলির সঙ্গে যুক্ত ঝুঁকিগুলির পর্যাপ্ত স্তর সম্বন্ধে গ্রাহকদের জানানো উচিত।“
advertisement
আরও পড়ুন: LIC-র শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সুখবর, গত এক বছরে বিশাল বৃদ্ধি কোম্পানির এমবেডেড ভ্যালুতে!
এনপিএস (NPS) কী?
সরকার দ্বারা আয়োজিত একটি অবসর সঞ্চয় বিকল্প হল এনপিএস বা ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। অবসর গ্রহণের পর নিয়মিত আয়ের জন্য এনপিএস-এ মাসিক টাকা জমা রাখা হয়। সরকারি কর্মচারীদের জন্য এটি চালু করা হয়েছিল ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে।
কত ধরনের এনপিএস অ্যাকাউন্ট হয়?
এনপিএস (NPS)-এর অধীনে, দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট হয়। টিয়ার-১ ও টিয়ার-২। টিয়ার-১ অ্যাকাউন্ট অবসরকালীন সঞ্চয়ের জন্য খোলা হয়, এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ন্যূনতম ৫০০ টাকা করে জমা করতে হয়। টিয়ার-১ অ্যাকাউন্টে আয়কর আইন, ১৯৬১ এর ধারা ৮০সিসিডি (১বি) এর অধীনে কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: New Wage Code: সপ্তাহে তিনদিন ছুটি, চারদিন কাজ! চাকরিজীবীদের জন্য সব থেকে বড় আপডেট, সরাসরি প্রভাবিত
টিয়ার-২ অ্যাকাউন্ট হল একটি ওপেন-অ্যাক্সেস অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ন্যূনতম ১০০০ টাকা করে জমা করতে হয়। এই অ্যাকাউন্ট থেকে গ্রাহক যে কোনও সময় সম্পূর্ণ টাকা তুলে নিতে পারেন। এই অ্যাকাউন্টে কোনও কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যায় না।
এনপিএস রেটিং সিস্টেম:
গ্রাহকরা এনপিএস-এর অধীনে কোনও স্কিমে বিনিয়োগ করলে সেই বিনিয়োগের সঙ্গে যুক্ত ঝুঁকি সম্পর্কে আরও ভালো ভাবে জানতে পারবেন রেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে। তালিকাভুক্তির সময় এবং স্কিমগুলিতে বিনিয়োগ করার সময় স্কিমগুলির উত্থান ও পতনের সম্বন্ধে জেনে আরও ভাল সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন গ্রাহকরা।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী ছয়টি স্তরে ঝুঁকির রেটিং করা হবে। নিম্ন ঝুঁকি, নিম্ন থেকে মাঝারি ঝুঁকি, মাঝারি ঝুঁকি, মাঝারি থেকে উচ্চ ঝুঁকি, উচ্চ ঝুঁকি ও অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকি। স্কিমের বৈশিষ্ট্যগুলির উপর ভিত্তি করে, E-Tier 1, E-Tier 2, C-Tier 1, C-Tier-2, G-Tier-1, G-Tier-2 এবং স্কিম A-এর জন্য ঝুঁকির মাত্রা নির্ধারণ করবে পেনশন ফান্ডগুলি।