পাড়ায় পাড়ায়, রাস্তার মোড়ে মোড়ে ফুচকা বিক্রি হয়। কিন্তু কোনও কোনও এলাকার ফুচকা নিজ গুণে বিখ্যাত। এমনই খ্যাতি রয়েছে বিহারের লখিসরাইয়ের ফুচকার। সেখানকার এক ফুচকা বিক্রেতার বিশেষ ফুচকা খেতে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন মানুষজন। নাম তাঁর নন্দলাল ফুচকাওয়ালা। তাঁর বিশেষত্বই হল ওই ‘তিনভাগ জল’-এ। শুধু তেঁতুল জল নয়। নন্দলাল ব্যবহার করেন নানা রকমের জল।
advertisement
আরও পড়ুন: জানেন কি এই ৯টি দেশে দিতে হয় না কোনও ট্যাক্স !
লখিসরাই নয়া বাজার এলাকায় আর লাল কলেজের কাছে নিয়মিত দোকান চালান নন্দলাল। গত ১০ বছরে ব্যতিক্রম ঘটেনি প্রায় কোনও দিন। নন্দলাল জানান, ঘরে তৈরি মশলা ব্যবহার করেন তিনি। তাই বহু মানুষ এর স্বাদে মজে রয়েছেন। প্রতি সন্ধ্যায় মানুষের ভিড় জমে তাঁকে ঘিরে।
নন্দলালের দাবি, মাত্র তিন থেকে চার ঘণ্টায় আড়াই হাজারের বেশি ফুচকা খেয়ে ফেলেন ক্রেতারা। তিনি বলেন, ‘ফুচকা দেওয়ার সময় আমি সব সময় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখি। মানুষও তাই আমার ফুচকা খেতে পছন্দ করেন।’
প্রতিদিন তিন কেজি ময়দা ও এক কেজি সুজি মিশিয়ে বাড়িতে ফুচকা তৈরি করেন। জল থেকে আলুর পুর বা অন্য সামগ্রী তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় বাড়িতে তৈরি মশলাই। তাই অন্য সকলের থেকে একেবারে আলাদা স্বাদ পাওয়া যায় তাঁর ফুচকায়। আর সেটাই এমন ভিড়ের কারণ।
১০ টাকায় ৬টা—
এই খবরটুকু পড়লেই কলকাতার ফুচকাপ্রেমীরা ছুটে যেতে পারেন নন্দলালের কাছে। কারণ এখন কলকাতার প্রায় কোথাও ১০ টাকায় এত ফুচকা পাওয়া যায় না।
নন্দলাল জানান, প্রতিদিন বিকেল ৪টেয় লাল কলেজের কাছে তাঁর পসরা সাজিয়ে বসেন। ১০ টাকায় ৬টা ফুচকা। সঙ্গে সঙ্গেই ভিড় জমতে শুরু করে। ফুচকা দিয়ে পাপড়ি চাটও তৈরি করে দেন তিনি। এর মধ্যে মিষ্টি চাটনি, টক চাটনি, দই, ধনে পাতা, ছোলা দিয়ে দেন।
বছরে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা রোজগার করতে পারেন নন্দলাল।
