মার্কেট রিস্ক: এটা মূলত বাজারের ওঠানামা বোঝায়। অর্থনৈতিক উত্থানপতন, বিশ্ব রাজনীতির পরিবর্তন বা বিনিয়োগকারীর নিজস্ব চিন্তাভাবনা বাজারকে প্রভাবিত করে। ফলে কখনও বাজার ওঠে, কখনও নামে।
ক্রেডিট রিস্ক: ক্রেডিট রিস্ক মিউচুয়াল ফান্ডের নিরাপত্তা রিস্কের সঙ্গে সম্পর্কিত। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার সময় এটা মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এতে নির্দিষ্ট আয়ের বন্ডে একচেটিয়াভাবে বিনিয়োগ করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘরের চালে বিকট শব্দ, দেখতে গিয়েই ভয়ঙ্কর-অবিশ্বাস্য! এত বড় সাপ? দেখুন
লিকুইডিটি রিস্ক: এই ধরনের ঝুঁকি বাজারের অস্থিরতার সঙ্গে সম্পর্কিত। বাজারের অবস্থা বা চলমান অস্থিরতার কারণে মিউচুয়াল ফান্ড বন্ডের সঠিক মূল্য না পেলে এই ঝুঁকি দেখা দেয়। লিকুইড সিকিউরিটিজ ফান্ডের বিক্রয় মূল্যের উপর প্রভাব ফেলে। নেট অ্যাসেট ভ্যালু হ্রাস পায়।
অন্য দিকে, রিটার্ন হল বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত লাভ। ঝুঁকি এবং সুদের হারের উপর রিটার্ন নির্ভর করে। মিউচুয়াল ফান্ডে বিভিন্ন ভাবে রিটার্ন পাওয়া যায়। মূলধন লাভ, লভ্যাংশ থেকে আয়, সুদের আয় ইত্যাদি। ফান্ডের ধরন এবং বিনিয়োগের প্রকৃতি অনুযায়ী রিটার্ন আসে।
আরও পড়ুন: বিরাট খবর, বাংলা থেকে ট্রেনেই যাওয়া যাবে সিকিম! রেল প্রকল্পের উদ্বোধন কবে?
সর্বদা বাস্তবসম্মত রিটার্ন আশা করা উচিত। কাল্পনিক নয়। ভাল রিটার্নের জন্য ঝুঁকি নিতে হয়। এর ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। বড় ঝুঁকি আর্থিক লক্ষ্য পূরণে বাধা হয়ে উঠতে পারে। মিউচুয়াল ফান্ডে একাধিক বিনিয়োগ বিকল্প রয়েছে। ইক্যুইটি ফান্ড, ডেট ফান্ড, হাইব্রিড ফান্ড এবং থিম্যাটিক ফান্ড। প্রতিটা ফান্ডের নিজস্ব ঝুঁকি এবং রিটার্ন আলাদা। ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা বুঝে বিনিয়োগের লক্ষ্য পূরণ করে, এমন ফান্ডই বেছে নেওয়া উচিত।
আর্থিক অবস্থার মূল্যায়ন এবং নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণের জন্য পদক্ষেপগুলি নির্দিষ্ট সময় অন্তর পর্যালোচনা করা জরুরি। ঝুঁকি এবং রিটার্ন, উভয় দিকই বিবেচনায় রাখতে হয়।