স্বাস্থ্যসেবা:
মা ও সন্তানের জন্য সরাসরি স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করাই একটি আদর্শ ব্যবসা হতে পারে। শিশুদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকা দেওয়া, পুষ্টি পরামর্শের পাশাপাশি ছোটদের হাঁপানির মতো অসুখের বিশেষ পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন- লোন নিয়ে ইনভেস্ট করছেন বিভিন্ন স্কিমে? ঠিক করছেন নাকি ডেকে আনছেন বড় বিপদ?
নিজেদের কাজে চাপে বাচ্চাকে নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার সময়ও পান না আধুনিক অভিভাবকেরা। সেখানে সহায়কের কাজ করা যেতে পারে। মা ও শিশুর কাউন্সেলিংও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
advertisement
চাইল্ড কেয়ার সেন্টার—
বাবা-মা যখন কাজে ব্যস্ত তখন শিশুদের উপযুক্ত দেখাশোনার বড় অভাব হয়। খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি উপযুক্ত শিক্ষাদাও খুব জরুরি। এমন একটি কেন্দ্র তৈরি করা যেতে পারে যেখানে শিশুরা দিনের একটা সময় কাটাতে পারবে। তবে এজন্য খুব সতর্ক হয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। নিরাপদ লালনপালনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
পণ্য পরিষেবা—
মা ও শিশুদের জন্য বিশেষ কোনও পণ্য তৈরি করা শুরু করা যেতে পারে। যেমন ধরা যাক প্রাকৃতিক ত্বক পরিচর্যা বা স্বাস্থ্যসেবা পণ্য। প্রেগন্যান্সি কেয়ার কিট, ব্রেস্ট ফিডিং সাপ্লিমেন্ট থেকে শুরু করে শিশু বিকাশের শিক্ষামূলক উপকরণ, পুষ্টিকর খাবার এবং স্ন্যাকস, খেলনা—সবই এর মধ্যে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন- SBI-র গ্রাহকরা সাবধান! ভুলেও এই কাজ করবেন না, সারাজীবন পস্তাবে হবে
অনলাইন প্লাটফর্ম—
এসব কিছু না করে শুধু অনলাইনেও কাজ করা যেতে পারে। মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অনলাইনে প্রচার করা যেতে পারে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেকের কাছে তা পৌঁছে যাবে।
মা এবং শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ক নিবন্ধ-সহ একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করা যেতে পারে। সেখানে ঘুম, পুষ্টি, ব্যায়াম ইত্যাদির মতো বিষয়গুলিতে অনলাইন কোর্স বা ওয়েবিনার করা যেতে পারে।
কমিউনিটি ইভেন্ট—
মা ও শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ক কোনও কমিউনিটি ইভেন্টের আয়োজন করাও যেতে পারে। এই ইভেন্টগুলিতে স্বাস্থ্য মেলা, শিক্ষামূলক সেমিনার, সহায়তা গোষ্ঠী ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
এই ইভেন্ট-এর পরিকল্পনা শুরু করার আগে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে নিতে হবে।